দুর্বলের ওপর সবলের অব্যাহত অত্যাচার আর কতোদিন?

 

গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা চলছে। ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজাউপত্যকায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর ট্যাঙ্ক হামলা চালাচ্ছে।এমনকি হাসপাতালও বাদ পড়ছে না।একই সাথে সেখানে তারা পদাতিক বাহিনী,গোলাবারুদ ও প্রকৌশলীসহ গোয়েন্দাইউনিট পাঠিয়েছে। কেন? অজুহাত ইসরাইলের দু ছাত্রকে ধরে নিয়ে ফিলিস্তিনির হামাস হত্যা করেছে। এজন্য ৫শর অধিক ফিলিস্তিনি আটকও করেছে ইসরাইল।

ইসরাইল সরকার গাজায় ১৮ হাজার সৈন্য পাঠানোরঅনুমতি দিয়েছে। রোববার ইসরাইলি জঙ্গিবিমান ও ট্যাঙ্কের দ্বিমুখি হামলায়কেবল শেজাইয়া শহরে মারা গেছে ৬২ জন ফিলিস্তিনি। এর ফলে গত কয়েকদিনে ইসরাইলিহামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬শ। আহত হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। ইতোমধ্যেই ইসরাইল গাজা দখলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটা কোন বর্বরতা! হাজার হাজার মানুষ বাঁচার জন্য তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাপ্রতিদিনই বাড়ছে। ইসরাইলি বাহিনীর এ বর্বরতার অবসান কবে হবে তা কেউই বলতেপারে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে,ইসরাইলি হামলার কবল থেকে নিরস্ত্রবেসামরিক মানুষকে বাঁচানোর যেন কেউ নেই। জাতিসংঘ ইসরাইলি বর্বরতা ঠেকাতেএখন পর্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বিশ্বে শান্তি ও ন্যায়নীতিপ্রতিষ্ঠার মহান ব্রত নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। গাজায় ইসরাইলি হামলায়নিহতের মধ্যে বেসামরিক লোকই বেশি। নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলিহামলা নতুন কিছু নয়। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেপ্রায়শইফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রেযুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকা ইতিবাচক নয়। তাদের উচিত ইসরাইলকেহামলা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা। কিন্তু তারা তা করেনি। বরং ইসরাইলেরসাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। কার্যত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদেরপ্রশ্রয়েই ইসরাইল এতো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

আলোচনার মাধ্যমেই সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। হামলা চলতে থাকলে সেখানেপরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেযেতে পারে। এ সঙ্কটের ব্যাপারে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র,রাশিয়া,চীনসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে মানবিক দায়িত্ব নিয়ে এগিয়েআসতে হবে। অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা দ্রুত বন্ধ করতে হবে।দু পক্ষের মধ্যে পরস্পর ঘৃণা দূর করে বিশ্বাস স্থাপনের মধ্যদিয়ে সম্প্রীতি প্রয়োজন। দুর্বলের ওপর সবলের অব্যাহত অত্যাচার সভ্যতাকে কলুষিত করে।