ডাকাতদলের অপতৎপরতা বৃদ্ধি : ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

 

সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর এবং ঝিনাইদহে ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতি রাতেই ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। প্রতিরোধে নিরস্ত্র গ্রামবাসী এগিয়ে এলেও বোমার মুখে ধরতে পারছে না ডাকাত। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন, পুলিশ কী করছে?

ডাকাতি, ছিনতাই বা খুনের পরে নয়, অপরাধমূলক ঘটনা ঘটানোর আগেই অপরাধী ধরে আইনে সোপর্দ করাটাই পুলিশের মূল দায়িত্ব। অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হলে অপরাধীদের শনাক্ত করে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। অবশ্য পুলিশে অপ্রতুলতা অনস্বীকার্য। তার ওপর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা। তাই বলে গ্রামবাংলার মানুষকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রাখতে হবে? জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি তৎপরতা প্রয়োজন। অপ্রতুলতা কাটিয়ে উঠতে সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের দ্রুত বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নিতে হবে। বিলম্বে বাড়বে গ্রাম্য জনপদের দীর্ঘশ্বাস।

ডাকাতি হচ্ছে, ডাকাত ধরা পড়ছে না। গ্রেফতার হচ্ছে, অর্থবাণিজ্যের অভিযোগের তালিকা দিন দিন লম্বা হচ্ছে। এতে পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের যে আস্থাহীনতাই বৃদ্ধি পায় তা অস্বীকার করা যায় না। পুলিশ অবশ্যই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। নির্যাতিতকে আশ্রয় দিয়ে নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করবে। সমাজ সুন্দর করার জন্যই এ পদ্ধতি প্রচলিত। ব্যতিক্রম মানেই সাধারণ মানুষ দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কখন কার বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতদল, কে জানে? এ শঙ্কা নিয়ে কি স্বস্তিতে ঘুমানো যায়? দূর করতে হবে আতঙ্ক।

একের পর এক ডাকাতি, দস্যুতা। অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়। মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি। বোমা রেখে প্রাণনাশের হুমকি। শঙ্কিত জনপদের সাধারণ মানুষ। এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে কলঙ্কিত এলাকার মানুষ পুলিশের দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশা করে।