জাতীয় সংসদের হুইপ তোমাকে অভিবাদন

উন্নয়নের পূর্ব শর্ত সম্প্রীতি। গত পাঁচ বছরে চুয়াডাঙ্গায় তার ব্যত্যয় ঘটেনি। উন্নয়ন প্রশ্নে প্রত্যাশা পূরণ-অপূরণের যুক্তি ছিলো, থাকবে। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ প্রশ্ন চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীর কাছে নস্যি হয়ে উবে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা বিদ্যমান। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্যকে জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত করার মধ্যদিয়ে এলাকার উন্নয়নের যে সম্ভাবনা ফুটে উঠেছে, সেই সম্ভবনাই মূলত নির্বাচনী বিতর্ক বিলীনে সহায়ক হয়ে উঠেছে। ১০ম জাতীয় সংসদের হুইপ, তোমাকে অভিবাদন।

সমাজকে সুন্দরের পথ দেখায় নেতা। সুস্থ ও সম্প্রীতির নেতৃত্বই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির দীর্ঘ ৫২ বছরের রাজনৈতিক জীবনের অধিকাংশই কেটেছে আন্দোলন সংগ্রামে। প্রগতিশীল রাজনীতি তাকে শুধু উদারই করেনি, দেশপ্রেম আর গণমানুষের সঙ্গ করেছে মহৎ। মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়ে সহযোদ্ধাদের হারাতে হয়েছে। সহযোদ্ধা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে বরাবর-ই অকৃপণ তিনি। ৮ শহীদ সহযোদ্ধার কবরের পাশে গড়ে তোলা সংগ্রহশালা তারই উদাহরণ। যা তার অবর্তমানেও যুগযুগ ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে প্রজন্মকে। তার এ দূরদর্শিতাকে সাধুবাদ।

হুইপ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখার ইচ্ছে ব্যক্ত করে কৃষি ও কৃষককে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, এ অঞ্চল কৃষিপ্রধান। কৃষকের সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হতে বাধ্য। এজন্য দরকার সেচসুবিধা ত্বরান্বিত করা। মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাতে পারলে ভূ-গর্ভের পানিস্তর কৃষককুলের নাগালের মধ্যে থাকবে। মরুভূমি হবে না বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাথাভাঙ্গা বাঁচাতে ও এর স্রোতধারা ধরে রাখতে তিনি ইতোমধ্যেই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। কুমারী ভেটেরিনারি ইনস্টিটিউটকে তিনি পূর্ণাঙ্গ কলেজে উন্নয়নের ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য উন্নয়ন স্বপ্ন।

জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলামান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে আজ চুয়াডাঙ্গার নাগরিক সমাজ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত সংবর্ধনার মধ্যদিয়ে সংবর্ধিত অতিথিকে যে আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে তা বলাই বাহুল্য। এলাকায় রাজনৈতিক সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি গত ৫ বছরে তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে কাছে টেনেছেন। উন্নয়নধারার যে বীজবপণ করেছেন তার বাস্তবায়নের সুবর্ণ সুযোগ এখন তারই হাতের মুঠোয়। হস্তগত সুযোগকে নিশ্চয় তিনি যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে গ্যাস সংযোগসহ অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবেন। জ্বালানি সরবরাহ ও তার নিশ্চয়তা পেলে বদলে যাবে দৃশ্যপট।

এক সময় চুয়াডাঙ্গা ছিলো সন্ত্রাসকবলিত হিসেবে কলঙ্কিত। সেই কলঙ্ক মুছতে শুরু করেছে। সারাদেশে যখন রাজনৈতিক হানাহানি তখনও চুয়াডাঙ্গায় সম্প্রীতির সুবাতাস। এর কৃতিত্ব তারই, যখন যে ব্যক্তি নেতৃত্বের শীর্ষে থাকেন। কারণ তার আঙুল হেলানো দোলানোর ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করার জন্য অবশ্যই তাকে সশ্রদ্ধ সালাম। চুয়াডাঙ্গা নাগরিক সমাজ আজ তাকে সংবর্ধিত করতে মেতেছে নানা আয়োজনে। পূর্ণতা পাক আয়োজন। পূরণ হোক ইতিবাচক সকল প্রত্যাশা।