চুয়াডাঙ্গার ৫টিসহ দেশের ১৩৩টি ইউপি নির্বাচন হোক শান্তিপূর্ণ

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ২টি ও জীবননগর উপজেলার ৩টি মোট ৫টিসহ দেশের ১৩৩টি ইউপি নির্বাচন আজ। গোপন ব্যালটে ইউনিয়নবাসী ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন স্থানীয় সরকার প্রধান তথা ইউপি চেয়ারম্যানকে। একই সাথে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডেও নির্বাচিত হবেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত নারী সংরক্ষিত সদস্য। নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, স্থানীয় উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বা ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অনেক। সে হিসেবে দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করা ভোটার সাধারণের দায়িত্ব। যদিও তা প্রয়োগের পরিবেশটাও মূখ্য।
স্থানীয় সরকার কাঠামোগুলোতেও এখন রাজনৈতিক দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ করে নেয়া হয়েছে। গোপন ব্যালটে নেতা বা প্রতিনিধি নির্বাচন করা প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার যে সমাজের মানুষের যতোটা সুরক্ষিত, সেই সমাজ ততোটাই উন্নয়নের ধারায় গতিশীল। সে হিসেবে আমাদের সমাজ কতোটা গতিশীল? বোদ্ধাদের কাছে স্পষ্ট। তবে দিন দিন রাজনৈতিক সচেতনতা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। সে হিসেবে ভোটের অধিকার সংরক্ষণেই শুধু স্বোচ্ছার নয়, ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরপেক্ষ পরিবেশ গড়ার পক্ষেও জনমত বাড়ছে।
নির্বিঘেœ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজের ভোট নিজে দেয়ার মধ্যদিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারলে উন্নয়ন তরান্বিত হতে বাধ্য। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরে স্থানীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। আজকের নির্বাচনে যে বা যারাই ভোট কেটে নেয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে ত্রাসের আবাহ সৃষ্টি করুক না কেন, চুয়াডাঙ্গার দক্ষ প্রজ্ঞাবান জেলা প্রশাসক ও বিচক্ষণ পুলিশ সুপারসহ শীর্ষ কর্তারা তা কাটিয়ে নিশ্চয় সকলের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ গড়তে সক্ষম হবেন। এ বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।