গণমানুষের বন্ধুরাই গণতান্ত্রিক পন্থায় পাক নেতৃত্ব

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আজ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৪ সালের এপ্রিলে। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে প্রায় পক্ষকাল ধরেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে। আজকের এ সম্মেলন সর্বাত্মক সফল করার লক্ষ্যে ব্যস্ততারও যেন শেষ ছিলো না। শুধু ৬টি উপকমিটিই নয়, জেলার সকল উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগ প্রস্তুতিসভা যেমন করেছে, তেমনই অঙ্গ সংগঠনগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরাও এ সম্মেলন সফল করতে নানাভাবে সহযোগিতা করতে থাকেন। সম্মেলনে আগমন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা-স্বাগত জানিয়ে মিছিলেরও আয়োজন করা হয়। আর প্রধান প্রধান সড়কে নেতাদের ছবি তোরণ বেনার ফেস্টুন? ওতে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের হৃদয়েও যেন লেগেছে রঙের ছোঁয়া। তাই সর্বস্তর থেকেই কামনা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল হোক। সার্থক হোক। যোগ্য ব্যক্তি তথা নেতাই পাক নেতৃত্ব।
নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। যাত্রা শুরু করেছিলো এই পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষের রাজনৈতিক ভাবনার প্রতীক হিসেবে। ৪৭এর দেশ বিভাগের পর থেকে, এই অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে বার বার উচ্চকিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। সবশেষে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যদিয়ে এই ভূখণ্ডের শতাব্দী প্রাচীন অধীনতার অবসান ঘটে এই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। সোনালি অতীত ও সাফল্যমণ্ডিত বর্তমান নিয়ে বাংলাদেশের প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে আওয়ামী লীগ। সেই গৌরবান্বিত অতীতের সূত্র ধরে, আওয়ামী লীগ আজও সাম্প্রদায়িক এবং স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, তৎকালীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে পট পরিবর্তনকারী সেই আওয়ামী লীগ এখন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তারই নেতৃত্বে তথা দিক নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের চুয়াডাঙ্গাস্থ নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গার কল্যাণে, চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে অবদান রেখে হয়ে উঠেছেন আমজনতার আপনজন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হু্ইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের অবদান অনস্বীকার্য। সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি আর হাজি আলী আজগার টগর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদও শক্ত হাতে দিয়েছেন নেতৃত্ব। যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য সম্পাদকীয় পদের নেতৃবৃন্দ? তাদের অবদানও কম নয়।
অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আন্তরিক। গণতন্ত্রের চর্চায় বিশ্বাসী এই রাজনৈতিক দলটির দলেও যে গণতন্ত্রের চর্চা স্পষ্ট তা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের এবারের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি পর্বই জানান দিয়েছে। নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ৬টি উপকমিটি গঠন। সর্বসম্মতিক্রমে স্থান নির্ধারণ এবং আয়োজন সফল করার লক্ষ্যে সকলকে সাথে রেখে কাছে ডাকার মধ্যেই ফুটে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের ঔজ্জ্বল্য। আজকের আয়োজনের উদ্বোধন করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আর প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। অতিথির তালিকাও বেশ লম্বা। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা। অভিবাদন। চুয়াডাঙ্গার কল্যাণে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিশেষ নজর কাম্য। আজকের সম্মেলন সর্বাত্মক সফল হোক। ত্যাগী, যোগ্য ব্যক্তি তথা গণমানুষের বন্ধুরাই গণতান্ত্রিক পন্থায় পাক নেতৃত্ব।