কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে অতিথি বরণ নয়

 

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে, তাদের দিয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অতিথি বরণ দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচিত। পূর্বে শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারি করে তা নিষিদ্ধ করা ছিলো। এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে বলেছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে কাউকে সংবর্ধনা দেয়া যাবে না। এ আদেশ অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্য, মন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সংবর্ধিত করতে গিয়ে কোনো কোনো এলাকায় কিছু কিছু বিদ্যালয় প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করান। আড়ালে সংবর্ধিত অতিথির নিকটজনদের যে একেবারেই নির্দেশনা থাকে না তা নয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপযাজক হয়েও খুশি করতে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরাও এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেন। যদিও চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ এলাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সংবর্ধিত অতিথিকে বরণের রেওয়াজ অনেক আগেই উঠে গেছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকতা পাওয়ার কারণেই দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের যুক্ত স্বাক্ষরিত বিবৃতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তাগিদ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। এ পরিপত্র যে সময়পোযোগী তা বলাই বাহুল্য।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুন্দর মনের অধিকারী করতে সরকার নানামুখি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বছরান্তে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বহুমুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝে শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে অতিথিবরণে বাধ্য করা তাদের মাঝে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্র যথাযথভাবে অনুসরণে সংশ্লিষ্ট সকলকেই আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।