একে তো অবৈধযান দুর্ঘটনা, তাও আবার রহস্যজনক

মিনারা দুর্ঘটনায় নিহত হলেও কি পুলিশি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি রাখে না? একে তো অবৈধযান দুর্ঘটনা, তাও রহস্যজনক। মিনারা যখন বিয়ের দাবি তোলে তখন অস্বীকার করে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন সালাম। পরে অবশ্য বিয়ে করেন। বিয়ের পক্ষকাল পার হতে না হতেই রহস্যজনক দুর্ঘটনায় নিহত হলেন হতদরিদ্র মিনারা খাতুন। ঘটনাটিকে খাটো করে দেখার অবকাশ রাখে না।

 

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পাঁচকমলাপুরের মিনারা খাতুন দু সন্তান নিয়ে অন্যের কাছে হাত পেতে খেয়ে না খেয়ে দিন চালাতো। তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই গ্রামের সালাম। মিনারা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে বলে জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সালাম কৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। গ্রামে কয়েক দফা সালিস হয়। কেউ কেউ সালামের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় বলেও গ্রামে খবর রটে। এসব খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সালাম তার প্রতিবাদও জানান। শেষ পর্যন্ত তিনি মিনারার দাবি সত্য বলে স্বীকার করে নিয়েই বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর তিনি চিল্লার কথা বলে যখন দূরে, তখনই মিনারা নিহত হলো। মৃত্যু নিয়ে রহস্য যখন দানা বেধেছে তখন পুলিশি গড়িমসি আইন প্রয়োগে গড়িমসিরই ইঙ্গিত বহন করে।

 

বৈধযান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটলেও যখন তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান দেশে প্রচলিত, তখন অবৈধযান দুর্ঘটনায় প্রাণহানিকে কেন খাটো করে দেখা হবে? প্রায় প্রতিদিনই অবৈধযান দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরছে, পঙ্গু হচ্ছে মানুষ। অথচ অবৈধযান দুর্ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ আমলেই নিচ্ছে না। এর কুফল সমাজের ঘাড়েই পড়ছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কাম্য।