উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হোক সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন তেমন না জমলেও উপজেলা নির্বাচনী আমেজ ইতোমধ্যে ফুটে উঠেছে। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশেই সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান। উপজেলা নির্বাচনে সে পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হলেও সরকার দায় এড়াতে পারে না।

উপজেলা নির্বাচন সরাসরি রাজনৈতিক না হলেও অঘোষিত রাজনৈতিক। ক্ষমতাসীন দল উপজেলা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপিও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। একক প্রার্থী দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তারাও সংগঠনিকভাবে নানামুখি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। যদিও সারাদেশেই বিএনপি একাধিক ভাগে বিভক্ত। ক্ষমতাসীন দলের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়, বিএনপির ক্ষেত্রে অনেকটাই অসম্ভব। যদি কেন্দ্রীয়ভাবে সমস্যার সমাধান না দেয়া হয়। উপজেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউনিয়ন পরিষদও। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর চেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করাই কাম্য। যদিও রাজনৈতিক স্রোতে তা এখন অসম্ভব। উপজেলা নির্বাচন আসন্ন। মেহেরপুরের তিনটি উপজেলার তফশিল ঘোষিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ৪টি উপজেলার নির্বাচনী তফশিল তৃতীয় দফায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে। ঝিনাইদহের কয়েকটি উপজেলার নির্বাচনী তফশিল ঘোষিত হয়েছে। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ভোটারদের কাছে ছুটছেন তারা। ভোটাররা ইতোমধ্যেই প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। নির্বাচনী আলোচনায় চায়ের দোকানও মেতে উঠেছে। আলোচনায় শুধু প্রার্থীরাই ঠাঁই পাচ্ছেন না, নির্বাচন কতোটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে তাও উঠে আসছে। সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে প্রয়োগ করতে না পারলে বাড়বে ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষত দগদগে করে তুলবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হয়েছে, তার গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কতোটুকু তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। উপজেলা নির্বাচন সেরকম হলে গণতন্ত্র বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে।