উন্নয়নে গতি আনতে এবং অপচয় রোধে দরকার সমন্বয়

সমন্বয়হীনতা শুধু উন্নয়নকে বাধাগ্রস্তই করে না, বহুলাংশেই বাড়ায় অপচয়। এটা চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিটিসিএল’র নিযুক্ত চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত ঠিকাদার। সমন্বয়হীনতার অন্ধত্ব ডেকে এনেছে ভোগান্তি। বাড়িয়েছে অপচয়।
ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগের ক্যাবল ভূগর্ভে স্থাপন করতে গিয়ে সুড়ঙ্গ করা যন্ত্র ফুটো করে দিয়েছে পৌরসরবরাহকৃত পানির পাইপ। ওই পাইপ ফুটো করার কারণে পুরো একটি দিন পৌর এলাকার বহু গ্রাহক সাধারণকে শুধু পানি সঙ্কটেই ভুগতে হয়নি, ফুটো হওয়া পাইপ পৌর পানির বিশুদ্ধাকেও যে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য টানা ১১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ওই ফুটো বন্ধ করে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে। এতে পৌরসভার তহবিল থেকে গুনতে হয়েছে অনেক টাকা। ফুটো না হলে নিশ্চয় এই খরচ হতো না। তাছাড়া একদিনের পানি সঙ্কটের ভোগান্তি বহু পরিবারেই যে নাভিশ্বাস ওঠে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কে-ই বা অতোটা উপলব্ধি করতে পারে। অথচ একটু সমন্বয়েই এই দুর্ভোগ বিড়ম্বনা অপচয় এড়নো যেতো। সমন্বয় অতোটা ঘটা করে না করলেও চলে। সড়ক সড়কের পাশে কিছু করতে হলে যেমন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন নেয়ার বিষয়টি বাধ্য বাধকতার মধ্যে নেয়া যেতে পারে, তেমনই পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পৌরসভারও অনুমোদন নিতে হবে। এই অনুমোদনের মধ্যেই তো সমন্বয়ের সেতুবন্ধন সম্ভব। প্রয়োজনে একটু আলোচনার সময় নির্ধারণ করে স্বল্প সময় ব্যয়। অতোটুকুতে আপত্তি থাকার কথা নয়।
সমন্বয় থাকলে নিশ্চয় বিটিসিএল’র ঠিকাদারের হাতে যে মানচিত্র তুলে দেয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করেই বলা থাকতো, ভূগর্ভের কোন স্থানে রয়েছে পৌর পানির পাইপ লাইন। সেটা থাকলে নিশ্চয় এড়ানো যেতো পৌরবাসীর ভোগান্তিসহ পৌর তহবিলের অপচয়।