আশপাশে ঘুর ঘুর করছে প্রতারক ॥ অসতর্ক হলেই সর্বনাশ

অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের প্রায় সকলেই বহিরাগত। কিছু আছে ওদের সহযোগী। ঈদ এলেই ওরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এবারও ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ওদের অপতৎপরতা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকালও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে সর্বস্ব হারানো দুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানোর খবর গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে।
অবশ্যই সমাজের কোনো নেতিবাচক খবর শুধু পদস্থ কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণই নয়, তাতে থাকে জনসচেতনতা সৃষ্টিরও প্রয়াস। এখন কেউ যদি উদাসীন হন, কি করলে কি হয় সে সম্পর্কে সজাগ না হন তাহলে তো প্রতারকচক্রের পোয়া বারো হবেই। কিছুক্ষেত্রে হচ্ছেও তাই। তা না হলে মসজিদের ইমামকে কি আর মোবাইলফোনে লোভনীয় টোপে পড়ে অতোগুলো টাকা হারাতে হয়? এইতো সেদিন দর্শনার এক মসজিদের ইমাম অনেকগুলো টাকা বিকাশ করে পরে হাই হাই করেছেন। এছাড়া অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে বাসে, ট্রেনে হাট-বাজারে পড়ে থাকার খবর তো এখন হরহামেশায় পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইলফোনে জিনের বাদশা সেজে কিংবা কোনো কোম্পানির কর্তা সেজে লটারির লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা যেমন নতুন নয়, তেমনই অজ্ঞানপার্টির অপতৎপরতাও বহু পুরোনো। সময়ের ¯্রােতে প্রতারকও তাল মিলিয়ে প্রতারণার ধরন-বরণে অভিনবত্ব আনে। ফলে বাড়তি সজাগ-সতর্কতার বিকল্প নেই। বাড়তি সতর্কতার মাধ্যমেই ওদের অপতৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব। কেননা, সুযোগ পায় বলেই প্রতারকরা প্রতারণার জন্য আশপাশে ঘুর ঘুর করে। সামান্য অসতকর্তা আর লোভের টোপেই সাধারণ মানুষকে কুপোকাত করে। অসতর্কতার সুযোগে অনেক সময় জাল টাকাও গোচিয়ে দেয়।
আগে অপরিচিত কারোর দেয়া কিছু খেতে বারণ করা হতো, এখন বাইরে বের হয়ে কোনো কিছু কিনে খাওয়াও ঝুঁকি। অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা ভদ্রবেশে পাশে বসা যাত্রী সেজেই শুধু নয়, ওরা এখন হকার সেজেও অজ্ঞান করা ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। অজ্ঞান করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। ওদের ধরার মতো পুলিশে সক্ষম সদস্যের বড্ড অভাব। সে কারণে সর্বসাধারণের সুহালে গন্তব্যে পৌঁছুনো বা বাড়ি ফেরার মতো দক্ষতা অর্জন জরুরি।