আল বিদা মাহে রমজান

 

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউসুফ আলী: আজ ২৪ রমজান। মহিমান্বিত মাহে রমজানের নাজাতের দশকের আজ চতুর্থ দিন। দেখতে দেখতে প্রায় শেষ হয়ে এল অশেষ কল্যাণ ও নেকির এই মাস। রমজানের শেষ দশকে জাহান্নাম থেকে বেশি সংখ্যক কয়েদীকে মুক্তি দেয়া হয়। তাছাড়া তাদের গুনাহও মাফ করে দেয়া হয় যারা কষ্ট করে সারাটি মাস রোজা পালন করে। এ কারণে এই দশককে নাজাতের দশক হিসেবে অভিহিত করা হয়। এক হাদিসে প্রিয় নবী এরশাদ করেন, রমজানের প্রতি দিবারাতে জাহান্নামের কয়েদীদেরকে মুক্তি দেয়া হয় এবং প্রতি দিবারাতে মুসলমানের একটি দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয় (তারগিব)। এ কারণে আমাদেরও বেশি বেশি দোয়া করা দরকার যাতে আল্লাহ তায়ালা মেহেরবানি করে আমাদেরকে দোজখের শাস্তি থেকে নাজাত দান করেন। হাদিসে এই মাসে চারটি কাজ বেশি বেশি করার কথা বলা হয়েছে। তা হলো- কলেমা শরিফ পড়া, এস্তেগফার, জান্নাত প্রাপ্তির জন্য দোয়া এবং জাহান্নাম থেকে নাজাতের দোয়া। পূণ্যময় মাসে আল্লাহপাক বান্দাদের মাফ করে থাকেন এবং দোয়া কবুল করেন। বিভিন্ন বর্ণনায় রমজানে এই দোয়া বেশি বেশি করার কথা বলা হয়েছে; লা ইলাহা ইল্লাল্লহ, আসতাগফিরুল্লহ, নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউযুবিকা মিনান্নার। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই। হে আল্লাহ, আপনার কাছে আমরা মাগফেরাত ও জান্নাত চাচ্ছি এবং জাহান্নামের আগুন থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আরও একটি দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে। তা হলো- ইয়া ওয়াছি’আল ফাদলি, ইগফিরলী। অর্থ, হে প্রশস্ত রহমতের মালিক, আমাকে মাফ করে দাও। রমজান মাসে সব সময়ই দোয়া কবুল হয়, তবে দোয়া কবুলের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ইফতারির ঠিক আগ মুহূর্ত। হাদিসে রাসুলে কারীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয় না। এক. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। দুই. ন্যায়বিচারক বাদশাহের দোয়া। তিন. মজলুমের দোয়া (আহমদ)। রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের মাস। তাই আসুন, নাজাতের এই দশকে আমরা সবাই মিলে মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে মাফ চায় যাতে তিনি আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন এবং পবিত্র জীবন দান করেন।