আজ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন

                আজ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের বৃহত দুটি রাজনৈতিক জোটের একটি ছাড়াই এ নির্বাচন হচ্ছে। ফলে নির্বাচনী আমেজ সর্বস্তরে তেমন ফুটে ওঠেনি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে সকল দলের নির্বাচনই কাম্য। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। কেন হয়নি, কেন এ নির্বাচনকে একতরফা নির্বাচন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে তা দেশের রাজনৈতিক সচেতন মহলের কাছে অজানা নয়। এ নির্বাচন কি স্বস্তি দেবে?

                 নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানে যেমন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তেমনি গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যও নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনে নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি এবং বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ উত্থাপন করতে না দেয়াটাও গণতন্ত্র বলে না।  দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা, ধ্বংস ও হিংসার আগুন জ্বলছে। এ আগুনে পড়ছে আমজনতা। গত বছরের প্রথমদিকে যে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে নির্বাচন সামনে রেখে তা তীব্রতর হয়েছে। যানবাহনে আগুন দিয়ে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যাকে কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলে? সাধারণ মানুষ কি এরকম নির্বাচনকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করে? করছে?

                 চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দেশ, তারই মাঝে আজ গোপন ব্যালটে গ্রহণ করা হচ্ছে ভোট। দু দিন ধরেই কিছু নির্বাচন কেন্দ্রে নাশকতা চালানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় বোমা ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ আতঙ্ককে তীব্রতর করে তুলেছে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে যেমন, তেমনই গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। এ দায়িত্ব দেশের বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ দু নেত্রীরই।