অনিয়ম দুর্নীতি জিইয়ে রেখে ভালো কিছু আশা করা অবান্তর

শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেয়া হলেও অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নানা অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। দীর্ঘদিন ধরে এ অভিযোগ উত্থাপিত হলেও প্রতিকার মেলে না। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

 

অতিরিক্ত ফি আদায়ের ফলে দরিদ্র অভিভাবকদের নাভিশ্বাস ওঠে। কিছু পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি মরসুমে যেসব খাতে অর্থ আদায় করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। পরীক্ষার ফি কেন অতিরিক্ত আদায় করা হবে? কিছু প্রতিষ্ঠানপ্রধান খোঁড়া যুক্তি খাড়া করেন। শিক্ষাবোর্ডে আসা-যাওয়াসহ কর্তাদের নাকি বাড়তি খরচ দিতে হয়। উৎকোচ দিতে হবে কেন? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্যায়ের সাথে আপস করবে আর তার বোঝা বহন করতে হবে পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের। এটা মেনে নেয়া যায় কি?

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণকালেই যদি অনিয়ম মেনে নেয়া শিখতে হয়, তা হলে সততা বলতে কিছু থাকে না। আজকের শিক্ষার্থীরাই তো জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। পরীক্ষায় ফি দিতে গিয়ে অনিয়মের শিকার হতে হবে, চাকরি পেতে গিয়ে মেধার বদলে তদবির আর অর্থের প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। হায়রে বাস্তবতা। পরিত্রাণ প্রয়োজন। অনিয়ম দুর্নীতি জিইয়ে রেখে জাতির সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন অবান্তর।