২৮ কোম্পানির তিন প্রকারের ওষুধ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার: মানসম্পন্ন ওষুধ উত্পাদনে ব্যর্থ হওয়ায় ২৮টি কোম্পানির তিন প্রকারের ওষুধের উত্পাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২২টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়েটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পেরিন গ্রুপ) এবং বাকি ৬টি কোম্পানির হরমোন ও ক্যান্সার জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদককে দ্রুত এই আদেশ কার্যকর করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়েছে কি-না তা দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে সরকারকে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।

নির্দেশ পাওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে: অ্যামিকো, এজটেক, বেঙ্গল টেকনো, বেনহাম, সেন্ট্রাল, ডিসেন্ট, ডা. টিমস, গ্লোবেক্স, গ্রিনল্যান্ড, ইনোভা, ম্যাকস, মেডিমেট, মডার্ন, মিসটিক, ন্যাশনাল, অর্গানিক হেলথকেয়ার, ওয়েস্টার, প্রিমিয়ার, প্রাইম, সীমা, হোয়াইট হর্স, মমতাজ, ইউনিক, ইউনাইটেড ক্যামিকেল, এফএনএফ ও টেকনো ড্রাগস (ইউনিট-১, ২ ও ৩) ফার্মাসিউটিক্যালস।

এর আগে গত ৭ জুন মানসম্পন্ন ওষুধ প্রস্তুত না করায় ৩৪টি দেশীয় কোম্পানির ওষুধ উত্পাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি কমিটি তাদের প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটির কাছে জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ২৮টি কোম্পানির ওষুধ উত্পাদন ও বিপনন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন। এছাড়া এই ২৮ কোম্পানির ওষুধ উত্পাদন ও বিক্রি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি এবং উত্পাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।