১৮ আইনজীবীর সদস্যপদ ও কল্যাণ তহবিল বাতিল

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণসভা অনুষ্ঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির ১৮ জন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে তারা সমিতির স্থানীয় কল্যাণ তহবিলের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণসভা চুয়াডাঙ্গা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল। সভায় আইনপেশার সাথে সম্পৃক্ত নন-এমন সদস্যদের সদস্যপদ বাতিলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হলে ব্যাপক আলোচনার পর ১৮ জন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিলো ১৬৮ জন। এর মধ্যে ১৮ সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার পর বর্তমানে সমিতির সদস্য সংখ্যা থাকলো ১৫০ জন।

সদস্যপদ বাতিল হওয়া আইনজীবীরা হলেন- ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, কাজী শামসুল হক জুয়েল, আব্দুল ওহাব (২), শাহবুল আলম চৌধুরী, জহুরুল হক, শাকের আলী, আব্দুস সবুর, নিয়ামুল কবির জোহা, আখতানুর নাহার, নূর-ই-গুলশান, ইকবাল হোসেন, জামরুল ইসলাম জোয়ার্দার, ইলিয়াস কাঞ্চন রনি, আশরাফুল হক উজ্জল, সেলিনা পারভীন, হাফিজুর রহমান সলক, আশরাফুজ্জামান এবং ওহিদুজ্জামান মুকুল।

সাধারণ সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ শামিম রেজা ডালিম, সিনিয়র আইনজীবী মসলেম উদ্দিন, জোয়াদ আলী, রবকুল হোসেন, মনিরুজ্জামান,  এসএম রফিউর রহমান, আশরাফ আলী বিশ্বাস, সেলিম উদ্দিন খান, নূরুল ইসলাম, মাহতাব হোসেন,  আলমগীর হোসেন (পিপি), হেদায়েত হোসেন আসলাম, মইনউদ্দিন মইনুল, আ.স.ম আব্দুর রউফ,  আবুল বাশার, আব্দুল মালেক, রফিকুল আলম রান্টু, মানোয়ারুল ইসলাম জোয়ার্দার, ইউনুছ আলী,  বদিউজ্জামান, শামসুজ্জোহা ,আতিয়ার রহমান, ফজলে রাব্বি সাগর, নাজমুল হাসান লাভলু ও এসএম হুমায়ুন কবির।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, সাধারণ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ ও গঠনতন্ত্রের অবস্থা বিবেচনা করে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনিয়মিত সদস্যদের স্থানীয় কল্যাণ তহবিলের সুবিধাদি ও ভোটাধিকার স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও অগ্রণী ব্যাংকে থাকা সমিতির এক কোটি সাত লাখ ৫৯ হাজার টাকা অন্য কোনো ব্যাংকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

হাজিরা ফরমের দাম সাত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন একতলা ভবনটি দ্বিতীয়তলা নির্মাণের জন্য সাত লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। নতুন সদস্যভর্তি ফি তিন হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবন ভেঙে মার্কেট তৈরির মাস্টারপ্লান করে সাধারণ সভার অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সাধারণসভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি মনসুর উদ্দীন মোল্লা ও শহিদুল হক এবং যুগ্মসম্পাদক তালিম হোসেন ও আহসান আলীসহ কার্যকরি কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।