১২৫ প্রাইমারি স্কুলের অনুকূলে বরাদ্দকৃত প্রায় অর্ধকোটি টাকা ফেরত গেলো

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাল্টাপাল্টি অবহেলার অভিযোগে ১২৫টি প্রাইমারি স্কুলের অনুকূলে বরাদ্দকৃত প্রায় অর্ধকোটি টাকা কাজ না করেই অবশেষে ফেরত গেলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে ক্ষুদ্র মেরামত খাতে ৩৩টি স্কুলের অনুকূলে প্রতিটিতে ১ লাখ টাকা এবং প্রয়োজনীয় সরমঞ্জাদি কেনার জন্য অন্যান্য স্কুলের কোনোটিতে ১৯ হাজার এবং কোনোটিতে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিস সময়মতো স্কুলের তালিকা ও কাজের বিবরণীপত্র না দেয়ায় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নিয়ম মাফিক সঠিক সময়ে কাজ সম্পাদন করতে না পারায় এ সকল প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দকৃত টাকা অবশেষে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, ক্ষুদ্র মেরামত খাতে টাকা উত্তোলনের জন্য প্রতিটি স্কুলের কাছে ১০ হাজার টাকা করে অফিস খরচ দাবি করা হয়, তারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় অফিসের অনাগ্রহের কারণেই এ টাকা ফেরত গেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এদিকে মৌখিক সম্মতি পেয়ে উপজেলার নিত্যনন্দপুর, শাখারিদহ, দরিবিন্নিসহ বেশ কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার কাজ সম্পন্ন করে তারা রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মনোয়ার হোসেন জানান, তার দপ্তর থেকে সময়মতো কাজের তালিকা ও বিবরণী প্রেরণ করলেও উপজেলা প্রকৌশল অফিস যথাসময়ে কাজ সম্পাদন করতে পারেনি। বিধায় টাকার ফেরত দেয়ার দায়ভার আমাদের না। অন্যদিকে উপজেলা প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র নন্দী বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস সময়মতো তালিকা ও বিবরণীপত্র না দেয়ায় তার দপ্তর থেকে যথাসময়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে এমনটা হয়েছে। এজন্য তাকে দায়ী করা যায় না বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক সমাজ বরাদ্দকৃত টাকার ফেরত যাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও অন্তোষ প্রকাশ করেছে।