হাসিনা ভারতকে সব দিয়ে ফিরেছেন খালি হাতে

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কাছ থেকে আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই আনতে পারেননি বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে কতোগুলো আশ্বাস নিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, অতীতের ধারাবাহিকতায় ভারতের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ও প্রস্তাবিত বিষয়গুলোতেই কেবল অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা সই করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে বুধবার গুলশানে নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা। নিজের ভারত সফর নিয়ে এক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “এই সফরে আমি সম্পূর্ণ তৃপ্ত, ফলপ্রসূ হয়েছে। সম্মানের দিক থেকে আমরা সমান-সমান, এটা তৃপ্তির। এখানে হতাশার কিছু নেই। এই সফর সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর চরম ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, “এই সফরকে দেশবাসী কেবল দেওয়ার এবং কিছু না পাওয়ার এক চরম ব্যর্থ সফর বলেই মনে করে।

নরেন্দ্র মোদীর জমানায় ভারতে শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক মিলিয়ে ৩৫টি দলিল সই হয়। শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সফরে তিনি তৃপ্ত। কিন্তু দেশের জনগণ এই সফরের ফলাফলে তৃপ্ত তো নয়ই, বরং আতঙ্কিত। তারা জাতীয় স্বার্থবিরোধী একগাদা চুক্তি ও সমঝোতা চায়নি। হিসাবের পাওনা চেয়েছে, বলেন খালেদা। ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক নিয়ে নিজের শঙ্কাও প্রকাশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এই ধরনের সমঝোতা বা চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও জনসাধারণের মতামতকে উপেক্ষা করে এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। এর সুদূরপ্রসারী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে দেশের জনসাধারণের সাথে আমরাও শঙ্কিত। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে দেশের স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি ও সমঝোতা পুনর্বিবেচনা করবে। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে শুল্প ও অশুল্ক বাধাগুলো দূর করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো পদক্ষেপ পাননি বলে জানান খালেদা জিয়া।

পাট রফতানির ক্ষেত্রে ভারতের এন্টি ডাম্পিং ক্লল তুলে না নেয়া, সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো পদক্ষেপ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।