হাতি দিয়ে প্রতিদিন দু’তিন হাজার টাকা চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার: হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। বরঞ্চ বহুলাংশেই চাঁদাবাজির মাত্রা বেড়েছে। খুলনা থেকে হাতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আসা মাউত তরিকুল অকপটেই স্বীকার করেছেন, হাতি দিয়ে প্রতিদিনই দু থেকে তিন হাজার টাকা মানুষের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয়ার কথা। পানিতে তিমি, আর স্থলভাগে হাতিই বড় প্রাণি। মানুষ তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিশাল দেহের প্রাণি হাতি ফাঁদে আটকে বসমানিয়ে ছেড়েছে। অবর্ণনীয় নির্যাতন করেই হাতিকে বসে আনতে হয়। এই বসে আনা হাতি দিয়ে এক সময় পাহাড় এলাকায় কাটা কাঠ বহন করা হতো। পরবর্তিতে সার্কাস খেলাতেও ব্যবহার করা হতো দর্শকদের অবাক করানোর জন্য। কালক্রমে উজাড় প্রায় বন, সার্কাসও হতে বসেছে ইতিহাস। বনের হাতিও বিলুপ্ত প্রায়। এরপরও প্রকাশ্যেই হাতি বন্দি করে বস মানানো বন্ধ হয়নি। বস মানানো হাতি দিয়ে জনসধারণের বাড়ির দরজায়, দোকানের সামনে সুড় তুলে এবং রাস্তায় ছোটবড় জানের সামনে আঁড় করে দিয়ে টাকা আদায়ের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা শহরে ও শহরতলি ঘুরে হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায় মাউতকে। তিনি হাতি পরিচালনার কৌশল হিসেবে হাতির কানের কাছের নরম স্থানে পা দিয়ে নাড়া চাড়া করার কথা জানিয়ে বলেন, হাতির খোরাক কলাগাছও এখন এমনি এমনি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া হাতি কিনে তা সার্কাসেও আর আগের মতো কাজে লাগানো যায় না বলেই তা নিয়ে বের হই রাস্তায়। এতে ভালোই আয় হয়। প্রতিদিন দেড় দু হাজার টাকা থেকে তিন ৪ হাজার টাকাও পাওয়া যায়।