হাঁপানিয়ার হত্যা মামলা থেকে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন চিৎলা ইউপির সকল সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার: হাঁপানিয়ার হত্যা মামলা থেকে চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন পেশ করেছেন চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের সব সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্যরা। এছাড়াও ঈদের দিন হাঁপানিয়ার ঈদগা ময়দানে সংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তার নিজ গ্রাম কয়রাডাঙ্গার ঈদগা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং সেখানে বক্তব্য উপস্থাপন করে মর্মে ঘোষণাপত্রও প্রস্তুত করেছেন চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্যের সকলে।
জানা গেছে, চুয়াডঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামে গত ২ সেপ্টেম্বর ঈদের দিন ঈদগা ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ মারামারিতে হাঁপানিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে ১ নং আসামি করে ১৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো অনেকের নামে মামলা দয়ের করেছেন। চিৎলা ইউপি পরিষদের সকল সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য যুক্ত স্বাক্ষরিত আবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ওইদিন সকাল ৮টায় চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তার নিজ গ্রাম কয়রাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া ঈদগা মাঠে নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদগা মাঠে গ্রামের উন্নয়ন সকলের মঙ্গল ও সু-স্বাস্থ্য কামনা করে বক্তব্য প্রদান করেছেন। যা গ্রামবাসীসহ আমরা সকলে জানি। তিনি হাঁপানিয়া গ্রামের মারামারির ঘটনায় জড়িত নন। ওইদিন জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ঘটনার সময় তিনি তার নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করছিলেন। ফলে ওই মামলা জিআর (৩৬৭/১৭) থেকে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংরক্ষিত আসনের মেম্বার রুশিয়া খাতুন, আরজিনা, ফাতেমা খাতুন, সাধারণ সদস্য শমসের আলী, তোহিদুল ইসলাম মল্লিক, নিজাম উদ্দীন, লিয়াকত আলী, আকরামুল হক, জহুরুল ইসলাম, শুকুর আলী ও আব্দুর রশিদ। এ আবেদনপত্র চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বরাবর পেশ করা হয়েছে।