হরিণাকু-ুতে স্বামীর পরকিয়ায় স্ত্রীসহ তিনজনের আত্মহত্যা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাক- উপজেলায় একই দিনে তিনজন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহননকৃতরা হলেন, হরিণাক-ু উপজেলার বাকচুয়া লক্ষীপুর গ্রামের বিশারত আলী ওরফে বিশা কসাইয়ের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫), একই গ্রামের সাহা মালিথার স্ত্রী জাহারণ নেছা (৬৫) ও নিত্যানন্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর লস্কারের স্কুলপড়–য়া ছেলে জীবন লস্কার (১৪)। এলাকাবাসী জানায়, স্বামীর পরকিয়ার কারণে প্রায়ই বিশারত আলী স্ত্রীকে মারধোর করতো। বুধবার রাতেও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেন সুফিয়া।
বাকচুয়া লক্ষীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মাস্টার ও ইকবাল হোসেন জানান, বিশারতের সাথে গোবিন্দপুর গ্রামের মিঠু মিয়ার স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকিয়া ছিলো। স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দিলে স্ত্রী প্রায়ই স্বামী বিশারত কতৃক নির্যাতনের শিকার হতেন। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকু-ু থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম শওকত হোসেন জানান, হরিণাক-ু উপজেলার বাকচুয়া লক্ষীপুর গ্রামের বিশারত আলী বিশা কসাইয়ের সাথে তার ছেলের শাশুড়ি অর্থাত বিয়াইনের সাথে পরকিয়া ছিলো। এ খবর তার স্ত্রী সুফিয়া জানতে পেরে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বিষপান করেন। তাকে উদ্ধার করে হরিণাক-ু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে লেখাপড়ার কথা বলার কারণে মায়ের ওপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে অষ্টম শেণির ছাত্র জীবন লস্কার।
হরিণাকু-ু থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পড়া নিয়ে তার মায়ের সাথে জীবনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে দুপুরে বিষপান করে স্কুলছাত্র জীবন। একই দিন উপজেলার বাকচুয়া লক্ষিপুর গ্রামে সাংসারিক গোলযোগের কারণে জাহারণ নেছা নামে এক বৃদ্ধা মহিলা বিষপানে আত্মহত্যা করেন। এর মধ্যে সুফিয়া খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে উভয় পক্ষে কোনো অভিযোগ না থাকায় জীবন লস্কার ও জাহারণ নেছার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে ওসি জানান। এ ব্যাপারে হরিণাক-ু থানায় পৃথক তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবার এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, মৃত সুফিয়ার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকা সত্ত্বেও তাকে কেনো ময়নাতদন্ত ছাড়ায় লাশ দাফন করার অনুমতি দেয়া হলো?