হরিণাকুণ্ডুর পল্লীতে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর পল্লীতে সেই স্কুল ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চার ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যান। তিনি ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আসামিরা যতো শক্তিশালী হোক না কেন রেহাই পাবে না। এসময় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান একান্তে পাশবিক নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর সাথে কথা বলে আসামিদের গ্রেফতারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হরিণাকু-ু থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে নির্দেশ দেন। ধর্ষণের পরই ৪ ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে ৪জন ধর্ষণ করলেও মামলা হয়েছে ধর্ষিতার প্রেমিকা রাজনসহ দুজনের নামে। সেও দশম শ্রেণির ছাত্র। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার জানান, ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া এলাকা ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্রুত এ মামলার সফলতা পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম ও ইমরুলের ছেলে রাজন ওই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় গত সোমবার আবারও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। মামলায় ৪জনের পরিবর্তে দুজনকে আসামি করার পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত আছে বলে পরিবারটি দাবি করে আসছে। ধর্ষকদের বাঁচাতে একটি চক্র নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে এমনও শোনা যাচ্ছে। তবে পুলিশ সুপারের দফতর থেকে কঠোরভাবে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।