হঠাত বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় ক্ষতির মুখে আলুচাষিরা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় চলতি মরসুমে হঠাত বৃষ্টিতে আলুর ফলনে বিপর্যয় দেখা দেয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলনে লাভ ভালো হয়েছিলো বলে কৃষকরা দাবি করেছে। এ বছর জেলায় ১০৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার আলু উৎপাদিত হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে সাড়ে ৮ কোটি টাকার কম আলু উৎপাদিত হয়েছে। গত বছর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী চলতি মরসুমে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার ১ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৯০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৮০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৪২৫ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৫৮০ হেক্টর। গত বছর চার উপজেলায় ১ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৯০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ২৮০ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে  আলুর আবাদ করা হয়।

গত বছর আলুর আবাদ লাভজনক হওয়ায় এ বছর কৃষকরা আলুর আবাদ বৃদ্ধি করে। গত বছরের চেয়ে এ বছর কৃষকরা ৩০৫ হেক্টর জমিতে আলুর বেশি আবাদ করে। কিন্তু সম্প্রতি তিনবার হঠাত বৃষ্টিতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শরীফ উদ্দিন হাসু জানান, এ বছর ২১ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করা হয়। হঠাত বৃষ্টির কারণে আলুতে ফলন ২০ ভাগ কম হয়েছে। গত বছর যে জমিতে বিঘাপ্রতি ১০০ মণ আলু হয়েছে এবার তা কমে ৬০ থেকে ৮০ মণ হয়েছে। গতবছর ২১ বিঘা জমিতে ৮০০ বস্তা (৮৫ কেজি) আলু পেলেও এবার পেয়েছে ৬৫০ বস্তা। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে। এবার প্রতি বস্তার আলুর দাম (৮৫ কেজি) সর্বোচ্চ  ৮৮০ টাকা। অথচ গত বছর একই পরিমাণ আলুর দাম ছিলো ৯০০ টাকা বস্তা। গত বছর আলুচাষে কৃষকরা লাভ করায় এবার আলুর চাষ বৃদ্ধি পায়। আগামী বছর কৃষকরা আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আলু  চড়া দামে কিনতে হবে ভোক্তাদের। একই অভিমত গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আহসান কবীরের। তিনি এ বছর সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করে লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হচ্ছে। একই অভিযোগ জেলার দামুড়হুদা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন কৃষকদের।