স্বাস্থ্য বিভাগ : বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের রমরমা

 

খাইরুজ্জামান সেতু: মাত্র ৩টি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ১টা আবার কোনো রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। আর এই সুযোগেই বেসরকারিভাবে পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্স গুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অধিকংশ সময়ই রোগী বহন করে নিয়ে যায়। আর এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো অধিংশ সময়ই যেমন ভাড়া না থাকলে হাসপাতালে ভেতর অবস্থান করে, তেমনি অধিকংশ অ্যাম্বুলেন্সই সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই চলে। ফলে রোগী সেবার মান মুখ থুবড়ে পড়ছে। বাণিজ্য হচ্ছে ওইসব বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক-মালিকদের।

সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা স্বস্থ্য বিভাগের রয়েছে  সদর হাসপাতাল ও ৩টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতলে রয়েছে ১৫০ শয্যা বেড। হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১, দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ৩১, জীবননগর স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে ৩১ শয্যা বেড। মোট ২৪৩ শয্যার বেডের অনুকূলে অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে মাত্র ৩টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালে ২টি ও জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১টি। এগুলো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বলে সিভিল সার্জন মুহা. সিদ্দিকুর রহমান জানান। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ২টির মধ্যে ১টি মাঝে মধ্যেই বিকল থাকে। আর ১৯৩ শয্যার বিপরীতে অধিকংশ সময় ২/৩ গুণ রোগী বেশি ভর্তি থাকে। অথচ চুয়াডাঙ্গা ৩টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের পোস্টের বিপরীতে লোকবল থাকলেও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের নাম মাত্র অন্য কাজ করানো হচ্ছে। এমত অবস্থায় যদি রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজস্ব যানবাহনে নিতে হয়। তাও আবারও অধিকংশ সময় ভরসা অবৈধযান নসিমন, করিমন, আলমসাধু ইত্যাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ দেশের বাহরে নিতে হলে বেসরকারিভাবে পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্স বা মাইক্রো। কারণ সদরে ২টা অ্যাম্বুলেন্সর ১টা অধিকংশ সময় নষ্ট থাকাই ১টা অ্যাম্বলেন্স অধিংশ সময়ই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রোগী বহন করে থাকে। যে সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয় সেগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা দর্শনার হাকিমের ১টি, নিরাময় নার্সিং হোমের সাইদুরের ১টা, সাইফুল হার্ডওয়ারের ১টা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম সাকুর ২টা নিয়ন্ত্রণ করলেও ২টা মালিক কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার তত্ত্ববধানেও ১টা অ্যাম্বুলেন্স পরিচালিত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পান্ন সিনেমা হল ও ডায়মণ্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার আগরওয়ালার সৌজন্যে মা ও শিশুদের সেবা দেয়ার জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলন্স সেবা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন মুহা. সিদ্দিকুর রহমান জানান আমি ইতোমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি লিখেছি।