স্বপ্ন দেখতে জানে চুয়াডাঙ্গার শারিরীক প্রতিবন্ধী শিশুরাও স্বাভাবিক শিশুর পাশাপাশি স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করছে

 

রহমান রনজু: তারাও স্বপ্ন দেখতে জানে এখন স্কুলে যায়, স্পষ্ট ও অস্পষ্ট ভাষায় পড়তে পারে, এটা আমাদের পরিবারের কাছে ছিলো স্বপ্নের মতো। কথাগুলো বললেন, মাসকিউলার ডিসট্রোফি (এমডি) আক্রান্ত দামুড়হুদার গোপীনাথপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী হাসিবুলের মা হাসিনা বেগম। একই কথা বললেন, সেরিব্রাল পলসি (সিপি ডায়াপ্লেজিয়ায়) আক্রান্ত নুসরাত জাহান শাম্মীর পিতা সাইফুল ইসলাম। গোপীনাথপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারজানা ইয়াছমিন খুশি বলেন, অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সহযোগিতা আর ভালোবাসা পেলে প্রতিবন্ধী শিশুও স্বাভাবিক শিশুর মতো একই সাথে পড়াশোনা করতে পারবে।

বিভিন্ন স্কুল ঘুরে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যাদেরকে ঘরের এক কোণে বা বারান্দায় পড়ে থাকার কথা বাড়ির বাইরে কোনো শিশুদের সাথে খেলতে যাওয়া তো দূরের কথা কখনও কল্পনাও করতে পারেনি স্বাভাবিক শিশুদের সাথে একই স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করবে। তারাও এখন পড়ছে এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে।

দৌলতদিয়াড় গ্রামের অভিভাবক সাইফুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে জন্ম থেকে সেরিব্রাল পলসি (সিপি ডায়াপ্লেজিয়ায়) আক্রান্ত নুসরাত জাহান শাম্মীকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল, সাভারের সিআরপিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখানোর পর ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করানো হয়। আমার মেয়ে এখন ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। সে এখন স্বপ্ন দেখে পড়াশোনা করে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষক হওয়ার।