স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে

আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দিতে মেয়েকে নির্যাতন করায় সালিস করতে গিয়ে হামলার শিকার

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রী ও শাশুড়িসহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে জামাইসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার দু দফায় মারামারিতে তারা আহত হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি গ্রামে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ার মুজাহার ম-লের মেয়ে তহমিনার বিয়ে হয় আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়োকান্দি ঈদগাপাড়ার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে সজলের সাথে। বিয়ে পর থেকেই তহমিনার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো সজল ও তার পরিবার। তাদের সংসারে রয়েছে দেড় বছর বয়সী ছেলে তানজিম। গত মঙ্গলবার তহমিনার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। উপায়ন্তর না পেয়ে তহমিনা পিতা বাড়ি চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি চলে আসে। গতকাল শনিবার সকালে তহমিনার মা রহিমা বেগম বিষয়টি মীমাংসা করার হাড়োকান্দি গ্রামে জামাই সজলের বাড়ি যান। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জামাই সজল তার শাশুড়ি রহিমা বেগমকে মারধর করে। রহিমা বেগম হাড়োকান্দি থেকে ফিরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিকেলে তহমিনা খাতুন পিতার বাড়ির লোকজন নিয়ে সালিস করার জন্য হাড়োকান্দি গ্রামের যান। সালিসেও শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে সজল ও তার লোকজন মিলে তহমিনাসহ তার লোকজনকে মারধর শুরু করে। এ সময় আহত হন তহমিনা খাতুন, তার বোন শিউলী খাতুন, চাচা মুসা, চাচী মুনজুরা বেগম ও ভগ্নিপতি আশা। পরে তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। তহমিনা ও তার মা রহিমা বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অপরদিকে, সজল ও তার মা ঈশারণ খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা নেয়ার জন্য। তাদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকায় চিকিৎসা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক সোনিয়া আহমেদ।