স্ত্রীর ভয়ে সিগারেট ছাড়লেন ওবামা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট হলে কি হবে, স্ত্রীর সামনে তাকেও চুপসে থাকতে হয়‍! মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথাই বলা হচ্ছে। স্ত্রী মিশেলের ভয়েই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি! এ কথা স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই! অবশ্য এ স্বীকারোক্তি মিশেলের সামনে দিতে সাহস করেননি, গত সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এক আড্ডায় বলে ফেললেন! কিন্তু এ অফ দ্য রেকর্ডের কথা মিশেল না জানুক চাইলেও প্রেসিডেন্টের মন্তব্য ফাঁস করে দিলেন সাংবাদিকরা। সমবয়সীদের ওই আড্ডায় ওবামাকে কেউ একজন প্রশ্ন করলেন যে, তিনি কেন ধ‍ূমপান ছেড়ে দিলেন? উত্তরে ওবামা হাসতে হাসতে মুখ ফসকে বলেই ফেললেন, স্ত্রীর ভয়ে! গত প্রায় ছ’বছর ধরে আমি সিগারেট খাই না। কারণ আমি মিশেলকে ভয় পাই! ফিটনেস ধরে রাখা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য ওবামার বেশ খ্যাতি আছে। ওই আড্ডায় সিগারেটের প্রতি অনেক আগে তার বেশ দুর্বলতা ছিলো উল্লেখ করে তরুণ বয়সের ধূমপানের স্মৃতি রোমন্থন করেন ওবামা! ওবামার ধূমপান ত্যাগের খবর শিরোনাম হতে থাকে ২০০৮ সাল থেকেই। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের অভিযানের সময় অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণ‍ার সময়ই ধূমপান ছেড়ে দেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে প্রবেশকালে ওবামা নিজেকে ধ‍ূমপান থেকে ৯৫ শতাংশ নিরাপদ বলে উল্লেখ করেন। তবে মাঝে মধ্যে তিনি ধূমপান ত্যাগের প্রচেষ্টা থেকে ছিটকে যান বলেও উল্লেখ করেন সে সময়। এরপর ২০১০ সালে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস জানান, ওবামা গত ৯ মাস ধূমপান করেননি এবং ধূমপান ছাড়ার জন্য তিনি বদ্ধপরিকর। উল্লেখ্য, ফার্স্ট লেডি মিশেল একজন জনস্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক প্রচারণাকর্মী। জনস্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার পাশাপাশি ওবামার ধূমপানের ব্যাপারেও কড়াকড়ি ‍আরোপ করেন তিনি। অবশ্য মিশেল জানান, ওবামা কখনোই তার দু কন্যা সন্তানের সামনে ধূমপান করেননি বা করেন না। এছাড়া ২০১১ সালে মিশেলই জানিয়েছিলেন, ওবামা গত এক বছরেরও বেশি সময় হলো ধূমপান করছেন না।