সেন্ট মার্টিনে দেড় শতাধিক পর্যটক আটকা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে চার নাম্বার হুঁশিয়ারি সংকেত থাকায় দুদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন দেড় শতাধিক পর্যটক। কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক শনিবার বিকেলে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। তাই কক্সবাজার উপকূলকে চার নাম্বার হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর ফলে কক্সবাজারে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আজ রোববারও এ সংকেত বহাল থাকতে পারে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ শনিবার সন্ধ্যার দিকে বলেন, শনিবার বিকালের পর থেকে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দ্বীপে আটকেপড়া দেড় শতাধিক পর্যটককে নিরাপদে থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ থেকে তিনটি জাহাজে করে সাড়ে সাত শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে আসেন। ওইদিন বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পাঁচশর মতো পর্যটক সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফিরে গেলেও ২৫০ জন দ্বীপের বিভিন্ন হোটেলে থেকে যান। বৈরী আবহাওয়ার খবর পাওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যার দিকে তিনটি মাছধরা ট্রলারে করে আরও শতাধিক পর্যটক টেকনাফ ফিরে গেলেও প্রায় দেড় শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে। কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় শনিবার কোনো জাহাজ টেশনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে পারেনি। রোববারও সাগর শান্ত হয় কিনা, সন্দেহ আছে। সংকেত বহাল থাকলে টেশনাফ থেকে জাহাজ গিয়ে সেন্ট মার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকদেও টেকনাফে আনা সম্ভব নয়। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিউল আলম বলেন, দুদিন ধরে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আটকেপড়া পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।