সুমিরদিয়ায় কনের ঘরে যুবক : হাতেনাতে ধরে বিয়ে

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ পৌঁছে দেখলো, বিয়ের আয়োজন চলছে। উৎসুক গ্রামবাসীর উপচে পড়া ভিড়ের মাঝে এক লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ানোর পর বর ফিরতে চাইলো। প্রতিবেশীরাই বললো, রাতে আর ফিরে কি হবে, জামাই যখন হয়েই গেলে, রাতটুকু থেকে যাও।

গতরাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সুমিরদিয়া কলোনিপাড়ায় কনে ইতির বাড়িতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওই বাড়িতে দামুড়হুদার যুবক মাঝে মাঝেই আসে, ফিরে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আকবর আলীর কলেজপড়ুয়া মেয়ে ইতির ঘরে যেতেই মহল্লার একদল যুবক আটক করে। আটকের পর যুবক নিজেকে দামুড়হুদা দশমীপাড়ার রাজ শাহর ছেলে সুজন বলে পরিচয় দেয়। একই সাথে সে বলে স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যুরো প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছে সে। আমাদের সংবাদ পত্রিকার কার্ডও দেখিয়ে সুজন (২২) হম্বিতম্বি করতে থাকে। অপরদিকে কনে পক্ষের লোকজন ছুটে এসে যুবকদের মধ্যে রানা নামের একজনকে বাটামপেটা করে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে ঘরে আটক সুজনের সাথে ইতির বিয়ের আয়োজন করে গ্রামের সাধারণ জনতা।

ইতি বলে, সুজন তার প্রেমিক। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই তার সাথে সম্পর্ক। দেখা করতে এসেছিলো। অপরদিকে স্থানীয়রা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলে, সুজন মাঝে মাঝেই আসে। এর আগে একদিন ধরা পড়ার মুখে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে কলাগাছের আড়ালে আশ্রয় নেয়। এবার আর সে সুযোগ পায়নি সে। হাতে নাতে ধরেই বিয়ে পড়িয়ে ছাড়া হলো। বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাবা ধান? তা তো হবে না!

জানা গেছে, সুজন বাস্তপুরের ছেলে। তার পিতার নাম শরিফ। সে দামুড়হুদা বাজারপাড়ায় মামাবাড়িতে থাকে। মামার রিমি ফটোস্ট্যাটে থাকে। কম্পিউটারও আছে। সেখানে সংবাদিকরা সংবাদ কম্পোজ করে পত্রিকায় সেন্ট করার সুযোগে সে নিজেই সাংবাদিক বনে গেছে।