সাগর-ভিত্তিক পরমাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ছে পাকিস্তান

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কিস্তান সাগর-ভিত্তিক পরমাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে বলে দাবি করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। পাকিস্তান ও পশ্চিমা বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে মার্কিন দৈনিকটি এ খবর প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, পরমাণু হামলায় ভূমি ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে সাগর-ভিত্তিক এ ব্যবস্থা দেশটির দ্বিতীয় সারির পাল্টা আক্রমণ ব্যবস্থা হিসেবে তৎপর থাকবে। এ লক্ষ্যে পাকিস্তান সাগর থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গড়ে তুলছে এবং কৌশলগত পরমাণু বোমার বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি করছে। পাকিস্তানের এ কৌশলের পরবর্তী পদক্ষেপে সাগর থেকে ছোঁড়ার উপযুক্ত পরমাণু বোমা তৈরির তৎপরতা রয়েছে। ভারত সাগরে মোতায়েন রণতরী বা পাকিস্তানের পাঁচটি ডিজেলচালিত সাবমেরিন থেকে ছোঁড়ার উপযুক্ত হবে এ সব বোমা। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ২০১২ সালে পাকিস্তান গড়ে তুলেছে ন্যাভাল স্ট্রাটেজিক ফোর্স কমান্ড। পরমাণু বোমা তদারকির দায়িত্বে নিযুক্ত বিমান ও সেনা বাহিনীর মতো করেই এ বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। ‘দ্বিতীয় সারির পাল্টা আক্রমণ’ সক্ষমতা আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তান অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের পরমাণু বিশেষজ্ঞ শিরিন এম মাজারি। দেশটির রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত ইন্সটিটিউট অব স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের সাবেক পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।