সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন : মাথাভাঙ্গা পরিবারের শোক প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীকে তার নিজ বাড়ি ফেনিতে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিববারিক কবরস্থনে দাফন করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়েছে। তিনি গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ফুঁসফুঁসের সমস্যাজনিত রোগে ভুগছিলেন। ৯ অক্টোবর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ফুঁসফুঁসের অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। এরপর বেশ কিছুদিন গিয়াস কামালকে আইসিইউতে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি গিয়াস কামাল চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ‘ঢাকা টাইমস’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং পরে ’দি মর্নিং নিউজ’এ যোগ দেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) যোগ দেন। তিনি ’ভয়েস অব আমেরিকা’ (ভিওএ)-এর ঢাকা প্রতিনিধি ছিলেন এবং ‘দৈনিক খবরপত্র’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। গিয়াস কামাল চৌধুরী ১৯৯২ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। ১৯৯১ সালের ১০ জুন দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রকাশনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন। তিনিই প্রধান অতিথি হিসেবে দৈনিক মাথাভাঙ্গার অগ্রযাত্রা কামনা করেন। তার মৃত্যুতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আল আমিনসহ মাথাভাঙ্গা পরিবারের সকল সদস্য শোক প্রকাশ করে শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একনিষ্ঠ অনুসারী। পকিস্তান আমলে গণতান্ত্রিক ও স্বায়ত্তশাসন অন্দোলনে অংশ নিয়ে বহুবার কারাবরণ করেন। ২০১১ সালে তিনি দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন যা তার স্মৃতিশক্তি ও স্বাভাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।