সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখা কমিটির নির্বাচন না হওয়ায় অসন্তোষ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখা কমিটির নির্বাচন গতপরশু ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মনোনয়নপত্র বেচা-বিক্রি, ২ মাসব্যাপি এতো নির্বাচনী প্রচারণা, দৌড়ঝাঁপ করা হলেও শেষ পর্যন্ত কাউকে না জানিয়েই চুপিসারে নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে যাওয়ার ঘটনায় অনেকেই এ নির্বাচনের আয়োজক অত্যুৎসাহী শিক্ষক নেতাদের সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তুলছেন।

জানা গেছে, প্রায় ২ মাস পূর্বে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখা কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে ৩ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ সংবলিত নির্বাচনি তফশিল ঘোষণা করা হয়। শিক্ষক নেতা রহমতুল্লাহকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে আরও ৪ শিক্ষক নেতাকে সদস্য করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ তারিখ ছিলো ১০ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো ১৫ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রত্যাহারের তারিখ ছিলো ১৮ সেপ্টেম্বর, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের তারিখ ছিলো ২০ সেপ্টেম্বর, নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিলো ৩ অক্টোবর। ২৬টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে নামে ৪টি প্যানেল। প্রায় ২ মাস ধরে তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। ঘুরেছে ভোটার-শিক্ষকদের দ্বারে দ্বারে। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত ৩ অক্টোবর আসলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। কাউকে না জানিয়ে এভাবে নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে পালানোর হেতু কী? এ প্রশ্নের  জবাব দেননি নির্বাচন কমিশন কিংবা নির্বাচন অনুষ্ঠানের অত্যুৎসাহী নেতারা। তবে অনেকে জানিয়েছেন, এ নির্বাচন বন্ধ করতে বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি কর্তৃক আদালতে উকিল নোটিশ পাঠানোর কারণে। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কিছু অনিয়ম উল্লেখ করে তিনি এ উকিল নোটিশ পাঠান বলে জানা যায়।