সবকিছু থেকে বাদ লতিফ সিদ্দিকী

স্টাফ রিপোর্টার: আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখন আর সরকারের মন্ত্রী নন। এমনকি আওয়ামী লীগেরও কেউ নন। তাকে দলের প্রেসিডিয়াম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রোববার মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত আসে। দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অপসারণের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রী তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের ১৫ দিনের মাথায় তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিলো সরকার। দুপুরের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে মন্ত্রীদের তালিকা থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নাম মুছে ফেলা হয়। নতুন নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকবে বলে জানা গেছে।

গতকাল রোববার দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে যান। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকেও ডেকে পাঠানো হয়। বঙ্গভবন থেকে ফিরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ সময় জারি করা প্রজ্ঞাপন পড়ে শুনিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের ১ দফার (গ) উপধারা অনুযায়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রী পদে নিয়োগের অবসান ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কেন লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্বের অবসান ঘটানো হলো- সে বিষয়টি অবশ্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও এর বাইরে কিছু বলেননি। এ অবসানের অর্থ অপসারণ না অব্যাহতি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দুটো একই বিষয়। মিনিং একই। আমরা সংবিধানের ভাষা ব্যবহার করেছি।

হজ পালনের পর রাষ্ট্রপতি দেশে ফেরেন শুক্রবার। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও একই দিনে দেশে ফেরেন। গত শনিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে (লতিফ সিদ্দিকীর অপসারণ) একটি ফাইল আসবে। আমরা একটি সামারি তৈরি করে তা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠাব। রাষ্ট্রপতি তাতে সাইন করার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর পরদিন রোববার অপসারণসংক্রান্ত সেই প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
এর আগে নিউইয়র্ক থেকে ফিরে ৩ অক্টোবরই এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দেন লতিফ সিদ্দিকী আর মন্ত্রিসভায় থাকবেন না। তবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হজ পালনে সৌদি আরবে থাকায় লতিফকে বাদ দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা ঝুলে থাকে আরও এক সপ্তাহ। ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি নির্দেশ দিলে রিজাইন (পদত্যাগ) করতে হবে। নইলে বিদায় করে দিতে হবে। কিন্তু বিদায় দিতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাষ্ট্রপতি হজে গেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও হজে গেছেন। আমি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ফাইল তৈরি করে রাখতে বলেছি, অফিস খুললে ফাইল চলে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সফরে থাকার সময় ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাত ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। লতিফ সিদ্দিকী সেদিন বলেছিলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রমশক্তির অপচয় হয়। জয়কে নিয়েও তিনি বলেন- জয়ভাই কে? তিনি সরকারের কেউ নন। আমরাই সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তার ওই বক্তব্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি ইসলামী দল আন্দোলনের হুমকি দেয়। হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ শাখা তার মাথার মূল্য ঘোষণা করে পাঁচ লাখ টাকা। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশ। সারাদেশে ২৯টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১৯টি মামলায় সমন জারি করেছেন আদালত। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার পাশাপাশি ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে গ্রেফতারের দাবিও তোলে বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী ও মাহবুবউল আলম হানিফসহ সিনিয়র নেতারাও তার শাস্তি নিশ্চিতের কথা বলেন। এমনকি লতিফ সিদ্দিকীর নিজ জেলা টাঙ্গাইলেও তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে তার ছোট ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চান।

এর আগে কোনো মন্ত্রীকে অপসারণ করা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তা কাউন্ট করতে হবে। তাই সময় প্রয়োজন। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় ১৯৭৫ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম মনজুরকে সর্বপ্রথম তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ১৩ জন মন্ত্রী পদত্যাগ ও দুজন মৃত্যুবরণ করলেও আর কাউকে অপসারণ বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি। খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় চারজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও কাউকে অপসারণ বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি।

এরপর জিয়াউর রহমানের শাসনকালে ১৯৮০ সালের ৩ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং পাট প্রতিমন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খানকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর ১৯৮১ সালের ২০ জুন পেট্রোলিয়াম ও খনিজসম্পদমন্ত্রী লে. ক. (অব.) আকবর হোসেন এবং কৃষি ও বনমন্ত্রী মে. জে. (অব.) নুরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ সময় অনেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তবে কাউকে অপসারণ করা হয়নি।

এইচএম এরশাদের শাসনকালে মন্ত্রীদের অব্যাহতি দেয়ার সংস্কৃতি চালু ছিলো। ১৯৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি একদিনেই ৪১ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে অব্যাহতি দেন। এরপর এ ধারা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।

খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে (১৯৯১-১৯৯৬) মন্ত্রিসভা থেকে কাউকে পদত্যাগ বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলে (১৯৯৬-২০০১) মন্ত্রিসভা থেকে তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ এবং একজনের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হলেও কাউকে অপসারণ বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি। খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় শাসনামলে (২০০১-২০০৬) মন্ত্রিসভা থেকে কাউকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত হওয়ায় বদরুদ্দোজা চৌধুরী পদত্যাগ করেন এবং মৃত্যুজনিত কারণে দুজনের পদ শূন্য হয়। শেখ হাসিনার বর্তমান শাসনামলে (২০০৯-২০১৪) পর্যন্ত একাধিক মন্ত্রীকে পদত্যাগ বা অব্যাহতি দেয়া হলেও এই প্রথমবারের মতো কোনো মন্ত্রীকে অপসারণ করা হলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হজ ও ধর্ম নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিতর্কিত বক্তব্য গর্হিত কাজ। এ জন্য তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের একজন প্রাক্তন মন্ত্রী; যেভাবে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন, এ ধরনের কটূক্তি মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আমি জানি না তিনি কেন এ কথা বলেছেন। তবে তিনি যেটা বলেছেন, সেটা গর্হিত অপরাধ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। সব ধর্মের মর্যাদা পবিত্র কোরআনেও দেয়া আছে। এটা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সব ধর্মের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে, এটাই আমরা চাই।

রোববার আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়ার মূল এজেন্ডা নিয়েই গণভবনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ বৈঠক শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) এমন সময় এ মন্তব্য করেছেন যখন রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হজ পালনে ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দলের কেউ এমন মানসিকতা পোষণ করুক তা আমরা চাই না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনই বেশি ধর্ম-কর্ম পালন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যখন এ ধরনের মন্তব্য করেছেন তখন আমি (শেখ হাসিনা) দেশের বাইরে ছিলাম। আমার নির্দেশে ফাইল (অপসারণের) তৈরি করা ছিল। কালকে (শনিবার) বসে সই করেছি। রোববার গিয়েছি রাষ্ট্রপতির কাছে। সেখানে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
বৈঠকের শুরুতেই কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হওয়ায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় সংসদে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে সুষ্ঠুভাবে এ দু’টি ধর্মীয় উৎসব পালনে যথাযথ ভূমিকা পালন করায় আইনশৃংখলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক সময়ের কিছু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে সামাজিক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে ‘ক্যাপসার পানিশমেন্ট’ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ রকম আন্দোলনের হুমকি-ধমকি থাকা ভালো। সবাই সজাগ থাকে, অ্যালার্ট থাকে। তবে আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও এবং মানুষ হত্যার মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আন্দোলন কীভাবে ঠেকাতে হয় সেটা আওয়ামী লীগ জানে।

শেখ হাসিনা বলেন, চলার পথে ভুলত্রুটি হতে পারে। তবে আমরা তা শোধরাতে পারি। তা আমরা প্রমাণ করেছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের আমলে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, সামান্য কিছু লোক আছে, যাদের দল করার সামর্থ্য নেই, ভোট করার ক্ষমতা নেই। শিকে কখন ছিঁড়বে আর তারা কখন ক্ষমতায় যাবে সে চিন্তায় থাকেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সার্কাসের সে গাধা ও রশিতে চড়া সুন্দরী মেয়ের গল্প শোনান।

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, কাজী জাফরউল্লাহ, নূহউল আলম লেনিন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সতীশ চন্দ্র রায়, সাহারা খাতুনসহ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সব নেতাই উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার : দলের এ বৈঠকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে প্রেসিডিয়াম ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এজন্য দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে তাকে ৭ দিন সময় দিয়ে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করা হবে। এ নোটিশের জবাব এলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। দলের বৈঠক শেষে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।