শীতের আমেজে নিম্নচাপ : বড়ি দেয়ার ধুমে ছন্দপতন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তি হারিয়ে ছড়াচ্ছে মেঘমালা

স্টাফ রিপোর্টার: শীত এলেই গ্রামবাংলায় হরেক রকমের পিঠাপুলি আর কুমড়ো কলাইয়ের বড়ি দেয়ার ধুম পড়ে। শহরের রাস্তার ধারে শুধু সেদ্ধ ডিম নিয়েই ফেরিওয়ালা বসে না, ধুপপিঠের উনুনও ছড়ায় মৃদু উষ্ণতায় শীতের আমেজ। এবারও এসবের ব্যতিক্রম নয়। তবে শীত জেকে বসার কয়েকদিনের মাথায় বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে আকাশ মেঘলাই শুধু নয় কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর থেকে পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে ভেজানো কলাইয়ের ডালের সাথে কুরে রাখা চালকুমড়োর মিশ্রণে চালায় বসানো বড়ি দেয়া ছন্দে কিছুটা হলেও ছেদ পড়ছে আজ থেকে। কারণ বড়ি শুকোনোর জন্য সূর্যের প্রয়োজনীয় প্রখরতার বদলে মিলতে যাচ্ছে মেঘের ছায়া।
গত দু’দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতকাল বগুড়া ও টেকনাফে ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ ছিলো ২৮ দশমিক শূন্য ও সর্বনিম্ন ছিলো ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভূপরিমণ্ডলের তাপমাপার যন্ত্র ব্যারোমিটারের পারদ যেটুকুই নামুক না কেন, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের আমেজ ইতোমধ্যেই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। যদিও দরিদ্র দুস্থদের অনেকেই শীতের তীব্রতায় ইতোমধ্যেই দুর্ভোগ পোয়াতে শুরু করেছে। এর মাঝে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট স্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় আগামী দু’দিনের তথা ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। আজ আংশিক মেঘলা আকাশসহ পরিবেশ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা হতে পারে।
শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্ট রোগ যেন গণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে শিশু ও বাড়ির বয়স্কদের প্রতি বাড়তি সতর্কতার অনুরোধ জানিয়েছেন চিকিৎসকদের অনেকে।