শিশুদেরকে চাপ না দিয়ে খেলাধুলার ছলে পড়াশোনা শেখাতে হবে

চুয়াডাঙ্গায় আশা’র শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও কর্মশালায় জেলা প্রশাসক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আশা’র প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১০টায় চেম্বার ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় আশা ১২টি ব্র্যাঞ্চের মাধ্যমে ১৮০টি শিক্ষা কেন্দ্রে ১৮০ জন শিক্ষা সেবিকার মাধ্যমে ৫৩৯৯ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদানে সহায়তা করা হচ্ছে। প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে পড়ানো হয়। এরমধ্যে ৬টি অঞ্চলের ৬ জন শিক্ষা সুপারভাইজার, ৮৬টি কেন্দ্রে ৮৬ জন শিক্ষা সেবিকাদের নিয়ে শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতিত্ব করেন আশার কেন্দ্রীয় কমিটির ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) আবু হাসনাত চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও আশার জয়েন্ট ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) শেখ ওবায়দুল্লাহ। কর্মশালায় শিক্ষা সেবিকা রিজিয়া পারভীন, কাকলী খাতুন, তৃপ্তি খাতুন ও সাবা খান বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় কর্মসূচির আশার সিনিয়র শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম আহম্মেদ, কুষ্টিয়া ডিভিশনাল ম্যানেজার উত্তম কুমার ভৌমিক, এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার ওমর ফারুক, চুয়াডাঙ্গা ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার হারুনার রশিদ সেখ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মকর্তারা জানান, ১৯৭৮ সালে মানিকগঞ্জ জেলার টেপরা এলাকা থেকে আশার কার্যক্রম শুরু হয়। এখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মাইক্রো ক্রেডিট প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয় চালুসহ ১৩টি দেশে আশার কার্যক্রম চালু রয়েছে। শিক্ষা খাতে ১৯১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪৮ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৩৪১ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, শিশুদেরকে চাপ না দিয়ে খেলাধুলার ছলে পড়াশোনা শেখাতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আনন্দময় করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে চলেছে। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব হতো না। আশা কাজ করছে। জিও-এনজিও সমন্বয়ের কারণে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সব মানুষকে শিক্ষিত হতে হবে। শ্রীলংকা শতভাগ শিক্ষিত জাতি। শ্রীলংকা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষিত জাতিতে পরিণত হয়েছে। আমরা স্যানিটেশন ও পরিবার পরিকল্পনায় সফলতা পেয়েছি। এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সফলতা আনতে হবে। সরকার খুবই গুরুত্ব দিয়েছে শিক্ষার ওপর। বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। মানুষকে শিক্ষা দিতে পারলে ডিজিটাল সুবিধা নিতে পারবে। কেউ ঠকাতে পারবে না। আশা পরিপূরকভাবে কাজ করছে। পারকৃঞ্চপুরে শিশু সুমাইয়া হত্যার আসামি মোমিনুল লেখাপড়া করেনি। সে লেখাপড়া জানলে এ ঘটনা ঘটতো না। ইতি খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখার সময় বাল্যবিয়ে হতে যাচ্ছিলো। এখন বিশ্ব তাকে জানে। আর্চারীতে তিনটি স্বর্ণপদক লাভ করেছে। বই পড়ার পাশাপাশি নিজে আগ্রহী হয়ে পড়াশোনা শিখবে। শিশুকে আনন্দ দিতে হবে। বাধ্য হয়ে পড়ালে হবে না। তার সাথে খেলেন, গান করেন। খেলাধুলার সামগ্রী রাখেন। ওই বাচ্চা আনন্দ করবে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন লাভ করায় বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।