শিম আবাদ করে চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা বেজায় খুশি : জেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে এবার শিমের আবাদ

 

তৌহিদ তুহীন: একের পর এক ফসল উৎপাদনে লোকসানের পর উচ্চ ফলনশীল বারি-৩ ও বিস্কট জাতের শিম আবাদ করে চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা বেজায় খুশি। তাইতো বারি-৩ ও বিস্কট শিম চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের ঘরে আনন্দের বন্যা বয়ে এনেছে। চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার ভগিরথপুর গ্রামের সাহিদ আলী এ বছর ১২ কাঠা জমিতে বারি-৩ শিমের আবাদ করেছেন। লাভের কথা জানতে চাইলে হাসিমুখে জবাব দেন, ‘গত এক বছর ধইরে যা আবাদ করেচি তাতেই লচ। উপরআলায় মুখ ফিরে চেয়েচে। ১২ কাঠা জমিতি সার, বিষ, নেবার খরচ সব মিলিয়ে খরচ পরেচে ১০/১২ হাজার টাকার মতো। বিক্রি করে ফেলেচি ৩৫ হাজার টাকার মতো। এখনো ২০/২৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো।’

গত ১ বছর সার, তেল, লেবার, বীজ, প্রভৃতির দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে অনেক। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফসলের উৎপাদন ও মান কমে যায়। কিন্তু বাজারদর ভালো না হওয়ায় কৃষকরা প্রতিটি ফসলে একের পর অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে। কিন্তু এ বছর কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতি  ও উচ্চ ফলনশীল জাতের শিম আবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হরিবুলা সরকার জানান, জেলার জমি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বিশেষ করে জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলায় প্রচুর সবজি আবাদ হচ্ছে। এ বছর জেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং বাজারমূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। চাষিদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় আনতে পারলে শিমসহ সবধরনের সবজি আবাদে এ জেলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন গতি সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।