শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যক্তি উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিলের (দুপুরের খাবার) কার্যক্রম। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দৌলাতদিয়াড়স্থ শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন কার্যক্রমের উদ্যোক্তা এফবিসিসিআই পরিচালক ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সহোদর পিন্টু কুমার আগরওয়ালা, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের পরিচালক রিপনুল হাসান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার।

চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতা, সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক কিশোর কুমার কাণ্ডু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল সামী, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদ আক্তার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা খাতুনসহ আরও অনেকে। ওই ধরণের মহৎ কাজের উদ্যোগ নেয়ায় উদ্যোক্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে সন্তানদের প্রতি আমাদের যত্নবান হতে হবে। তারা প্রতিদিন স্কুলে যায় কি-না এবং বাড়িতে ঠিক মতো লেখা পড়া করে কি-না সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মিড ডে মিল চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মুখী করতে হবে। চুয়াডাঙ্গাতে পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ে একই কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ।

কার্যক্রমের উদ্যোক্তা এফবিসিসিআই পরিচালক ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, শিক্ষা হচ্ছে একটি জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি। শিক্ষা ব্যতীত দেশ তথা জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে একটি ফান্ড খুলবেন বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গার মানুষের সেবা করছি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়। কারণ রাজনীতিকে আমি ঘৃণা করি। আমি বরাবর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবো। পরে বিদ্যালয়ের ১শ ৯২ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থীদের মাঝে ওই খাবার বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা খাতুন।