শক্তির মহড়া দেখানোর প্রস্তুতি আওয়ামী লীগে

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচনের আগে বিরোধীদলের আন্দোলনের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির প্রকাশ ঘটাতে চাইছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের তিনদিনের হরতালের এক দিন আগে রোববার রাজধানীতে সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন দলটি, যাতে জনসমাগম কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন দলীয় নেতারা। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধীদলের আন্দোলনের মধ্যে এ কর্মসূচি দেয়ার পর তা সফলে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা, যা আগে দেখা যায়নি। জেল হত্যা দিবসের এ সমাবেশে শেখ হাসিনা নিজে থাকবেন, বক্তব্য দেবেন। আগের বছরগুলোতে এ দিবসটির কর্মসূচি আলোচনা সভার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। সর্বশেষ গত বুধবার গণভবনে শেখ হাসিনা ঢাকা এবং এর আশেপাশের জেলার দলীয় সংসদ সদষ্য ও নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, পাঁচ থেকে সাত লাখ লোকের সমাগম নিশ্চিত করতে হবে। কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা থেকে সদরঘাট পর্যন্ত লোক থাকতে হবে। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সমাবেশ সফলে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের দলীয় সাংসদ এবং নেতাদের সর্বশক্তি দিয়ে নামার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দুর্বলের সঙ্গে কেউ সন্ধি করে না। শক্তি হলে সবাই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসবে। লাঠি বা বন্দুকের শক্তি না, সমর্থকদের শক্তি। এটাই বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্লাস টাউয়ারের পূর্ব দিকে সমাবেশের মঞ্চ করা হয়েছে দক্ষিণ দিক মুখ করে। মাইক লাগানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেছেন, উদ্যানের মধ্যেই কেবল মাইক লাগানো হয়েছে। তবে কলরেডির মালিক আব্দুর রহিম বলেন, তারা সমাবেশস্থলে আড়াইশ মাইক লাগানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ মোড়, মৎস্যভবন এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সামনে আরো কিছু মাইক লাগানো হবে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন বলে এর নিরাপত্তার দায়িত্বে এসএসএফের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুশ কর্মী থাকবেন বলে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করেছেন তারা। আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, সমাবেশের প্রবেশপথ বেলা ১২টার দিকে খুলে দেয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চারুকলা ইনস্টিটিউট, টিএসসি ও বাংলা একাডেমীর উল্টো দিক এবং তিন নেতার মাজারের পাশের গেট দিয়ে মিছিলগুলো ঢুকবে।