রয়েল এক্সপ্রেস ভাঙচুর : হামলায় আহত কমপক্ষে ৮ শ্রমিক

মে দিবসে চুয়াডাঙ্গায় একটি সংস্থার শ্রমিকদের ওপর সাধারণ শ্রমিকদের হামলা

স্টাফ রিপোর্টার: শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক মে দিবসে চুয়াডাঙ্গার একটি পরিবহন সংস্থার শ্রমিকদের ওপর নগ্ন হামলা চালিয়েছে শ্রমিকরা। হামলা চালিয়ে তারা রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহন সংস্থার একটি কোচও ভাঙচুর করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে সদর থানার সামনেই বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

শ্রমিকদের হামলায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে জীবননগর দৌলতগঞ্জের মাশরুক আহম্মেদ সুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তিনি মৃত সেলিম উদ্দীন মোল্লার ছেলে। রয়েল এক্সপ্রেসের শ্রমিক। আহত অন্য শ্রমিকরাও একই সংস্থার শ্রমিক। এরা হলেন- সরোজগঞ্জের মৃত মফিজ মণ্ডলের ছেরে বাবুল আক্তার ড্রাইভার, ঝিনাইদহ আরাফপুরের মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে কামরুজ্জামান। তিনি ঝিনাইদহের কাউন্টার মাস্টার। সরোজগঞ্জ জলিবিলার মৃত মফিজ মণ্ডলের ছেলে মনা, ঝিনাইদহ হলিধানী কোরা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে কামাল ড্রাইভার, বদরগঞ্জ দশমাইল দশমিাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে ফারুক, চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মনির। তিনি চুয়াডাঙ্গা কাউন্টার মাস্টার। দৌলাতদিয়াড়ের মৃত আব্দুর সামাদের ছেরে মঈনুল ইসলাম। এরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আহতরা বলেছেন- প্রতি মে দিবসে রয়েল এক্সপ্রেসের মালিকের গ্রামের বাড়ি দামুড়হুদার গোপালপুরে বিশেষ আয়োজন থাকে। সভা হয়। সংস্থার উন্নয়মূলক সভায় যোগ দেয়ার জন্য শ্রমিক নিয়ে একটি কোচ দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে ফেরে। থানার সামনে কোচটি রাখা হয়। অপরদিকে মে দিবসে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা নানা কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাদেরই একটি অংশ  রয়েল এক্সপ্রেসের শ্রমিকদের সাংগঠিন কর্মকাণ্ডের বদলে মালিকের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত দেখে ক্ষুব্ধ হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে থানার সামনে রয়েল এক্সপ্রেসের একটি কোচ পেয়ে শুরু করে ভাঙচুর। তুমুল ভাঙচুরের খবর পেয়ে অপরদিকে রয়েল পরিবহনের একটি কোচ নিয়ে এ সংস্থার শ্রমিকদের একটি অংশ গোপালপুর থেকে ফেরে দৌলাতদিয়াড় ফায়ার স্টেশনের নিকট। সেখানে হামলার শিকার হন তারা।

সদর থানা পুলিশ বলেছে, শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিকেলেই মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে সমঝোতা হয়েছে। ফলে মামলা হয়নি। এদিকে শ্রমিক ইউনয়নের একাধীক শ্রমিক বলেছেন, মে দিবসে যখন সকল সাধারণ শ্রমিক সংগঠনের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত তখন রয়েল এক্সপ্রেসের শ্রমিকরা তাদের মালিকের দেয়া কর্মসূচি পালন নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণেই সাধারণ শ্রমিক ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়।