রাজপথ ছাড়াতো দূরের কথা কেউ নামেইনি : খালেদা জিয়া

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের স্লোাগানে মুখরিত অনুষ্ঠানস্থল। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন- খালেদা জিয়ার ভয় নাই/রাজপথ ছাড়ি নাই। স্লোগান শুনে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই স্লোগান শুনতে চাই না। রাজপথ ছাড়াতো দূরের কথা কেউ নামেইনি। রোববার ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়া একথা বলেন। নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সরকার একের পর এক আইন প্রণয়ন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের অবস্থা খুব খারাপ। প্রতিনিয়ত গুম-খুন হচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশটাতে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশের অবস্থা কী হলো সেদিকে তাদের (ক্ষমতাসীনদের) নজর নেই। তারা ক্ষমতার যে চেয়ারে বসেছেন সেটা ছাড়তে চান না। সুপার গ্লু লাগিয়ে বসে আছেন যাতে কেউ ওঠাতে না পারে। তারা দেশ ও তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই এমনটা করছে। কিন্তু এভাবে দেশ চলতে পারে না। এজন্য কি দেশ স্বাধীন করেছি! শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এ খুনি, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে ছাত্রসমাজসহ সবাইকে জেগে উঠতে হবে যোগ করেন তিনি। বিগত আন্দোলনের কথা স্মরণ করে খালেদা জিয়া বলেন, অনেকেই স্লোগান দেন-খালেদা জিয়ার ভয় নেই/রাজপথ ছাড়ি নাই। এ স্লোগান আর দেবে না। বিগত আন্দোলনে রাজপথ ছাড়াতো দূরের কথা কেউ নামেইনি। তাই এসব স্লোগান আর শুনতে চাই না।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে সময়মতো। তবে আন্দোলনের দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগ বুঝি না, হত্যাকা- বন্ধ করতে হবে। কে মরলো সেটি বড় কথা নয়, সব মৃত্যই কষ্ট দেয়। তাই সব হত্যা বন্ধ করতে হবে।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে উদ্বোধনী মঞ্চে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে ছাত্র সমাবেশের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে। গতকাল রোববার সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

জেলা ছাত্রলদের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এমএ তালহা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জেলা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা এবং দলীয় পাতাকা উত্তোলন করেন জেলা ছাত্রলদের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য এমএ তালহা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শ্রীমান্ত টাউনহলের সামনে পুলিশি বাঁধা পড়লে সেখানে থেকে ফিরে শ্রীমান্ত টাউনহলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলদের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজ। জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক খ.ম ইউসুফের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক সোহেল মালিক সুজন, বিএনপি নেতা সরদার আলী হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম পৌর বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট প্রমুখ।

জেলা ছাত্রলদের যুগ্মআহ্বায়ক জাহেদ মো. রাজিব খান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সকালে কেদারগঞ্জস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি পুলিশি বাঁধায় পড়ে আর্দশ স্কুলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলদের যুগ্মআহ্বায়ক জাহেদ মো. রাজিব খান। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী রবিউল ইসলাম বাবলু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকী বকুল, যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান খান, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সাইফুর ইসলাম সুমন, ছাত্রদল নেতা ছোটন, সোহাগ, আকাশ, জনি নাসির প্রমুখ।

জেলা ছাত্রলদের ১নং যুগ্মআহ্বায়ক শামীম হাসান টুটুল স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সকালে সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু ও দলীয় পতাকা উত্তলন করেন  জেলা শাখার ১ম যুগ্ম আহবায়ক শামিম হাসান টুটুল। বেলা ১১ টার দিকে সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গনে ছাত্রদলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশি বাঁধায় পড়ে। সেখান ফিরে পুনরায় সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গণে জামায়েত হয়। পরে সেখানে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের ১ম যুগ্মআহবায়ক শামীম হাসান টুটুল। যুগ্ম আহবায়ক তানভীর হোসেন রাজিবের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক সম্পাদক হামিদুল হক টুটুল। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাবেক ক্রীয়া সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এজাজুল হক মেরাজ প্রমুখ।

জেলা ছাত্রদলের সদস্য আমির আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রবজ আলী সুপার মার্কেটে অবস্থিত জেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও কেককাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য ইমরান মহলদার রিন্টু। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য আরিফ আহমেদ শিপ্লব। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য আমির হোসেন, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকাল ৮টায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর র‌্যালি বের  করা হয়। র‌্যালি শেষে দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান মিল্টনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, মহিলা নেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিতা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুবদল নেতা শামসুজ্জোহা পলাশ, সামসুল আলম, একরামুল হোসেন মেম্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।

অপরদিকে ছাত্রদলের অপর অংশের নেতাকর্মীরা দুপুরে র‌্যালি বের করে। র‌্যালি শেষে স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য মাসুদ রানা। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আশহারুল হক মিরাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা আনিসুজ্জামান আনিস, আমিনুল ইসলাম রশিদ প্রমুখ। আলোচনা শেষে কেক কাটা হয়। পরিচালনা করেন ছাত্রনেতা শাকিল আহম্মেদ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, বিকেলে শহরে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে কেককাটা ও  আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। পৌর কিন্ডারগার্টেন স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান ডাবলু। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবীর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহজাহান আলী, সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বাদল, উথলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, হাসাদাহ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোনা, রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠান পরিচলানায় ছিলেন আরিফ জাহাঙ্গীর রাজা ও সাইফুল ইসলাম।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা পৌর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে কেক কাটার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। পরে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল হাসান ব্রাইট। আলোচনা করেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বুলেট, ইকবাল হোসেন, মমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম তোতা, রবি, রেজাউল, ডাবলু, ছাত্রদলনেতা মামুন, সজিব, আরিফ, শাওন প্রমুখ।

দর্শনা পৌর ছাত্রদলের আরও একটি পক্ষ পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। একই সময় পৌর বিএনপির কার্যালয়ে কেক কাটার পর অনুষ্ঠিত আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদল নেতা রাসেদ আহমেদ সজিব। আলোচনা করেন বিএনপি নেতা শফিউল্লাহ, আশরাফুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা জাহান আলী, জাকির, আশিক প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও কেক কেটে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা ছাত্রদল নেতা আহমেদ রাজিব খানের সভাপতিত্বে ও নাজমুল হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা রাশেদুজ্জামান বাপ্পী, সাইদুর সুজন, মাসুদ ক্যালিম ডন, সুরুজ বাবু, শিমুল বিশ্বাস,সোহানুর রহমান সোহাগ, সেনজির আহমেদ, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।