রমজানের প্রথম জুম্মায় গাংনীতে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়

 

মাজেদুল হক মানিক: খোশ আমদেদ পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার একটি মাসের শুরু। এবারের রমজানের চতুর্থ দিনে গতকাল শুক্রবার জুম্মাতুল মোবারকের দিন ছিলো। রমজানের প্রথম জুম্মার দিনে তাইতো মেহেরপুর গাংনীর বিভিন্ন মসজিদে ছিলো মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। সালাত আদায় করে গুনাহ মাফের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

রোযা মনে আনে প্রশান্তি আর দেহের শুদ্ধিতা। বাড়তি সোয়াবের আশায় রোজাদার মুসলমানরা বেশি বেশি সালাত আদায় ও দান খয়রাত করে থাকেন। অনেকেই নিয়মিত মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করেন। প্রতিটি জুম্মার দিনে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় থাকলেও গতকাল শুক্রবার রমজানের প্রথম জুম্মা তাই উপচে পড়া ভিড় ছিলো। গাংনী বাজার বড় মসজিদ, গাংনী উত্তরপাড়া দারুস সুন্নত জামে মসজিদ ও ঈদদাহ জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে আযানের পর থেকেই মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। খুতবাতেও ঈমামবৃন্দ রোজার ফজিলতসহ ইবাদত-বন্দেগির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে নছিয়ত করেন। জুম্মার নামাজ শেষে দোআ মোনাজাতে বিশ^ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। ত্রিশটি রোজা আদায়ের আকুতি জানিয়ে আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। একই সাথে পরিবার, পরিজন, সমাজ ও দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে মোনাজাতের অংশ গ্রহণ করেছিলেন মুসল্লিরা।

রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান মাস। তাই বেশি বেশি দোআ ও মাগফেরাত কামনার মধ্যদিয়ে গুনাহ থেকে পানাহ কামনা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। রমজান মাসের জুম্মা দিনের ফজিলত ও মর্যাদার দিক থেকে অন্য সময়ের চেয়ে অবশ্যই ভিন্ন আর তাই মুসল্লিরা রমজানের জুম্মা দিন গুলোকে একটু ভিন্ন পরিবেশেই দেখে থাকেন। রমজান এবং জুম্মা দিন উভয় মিলেই এ দিনের মর্যাদা অনেক অনেক বেশি। তাই এই দিনে রোজাদার ব্যক্তি নিজেদের আমলের ঝুড়িকে ভারি করতে আরো বেশি তৎপর হয়ে থাকেন। জুম্মা নামাজ বাদেও এই দিনে রোজাদার ব্যক্তি বেশি পরিমাণ দানের জন্য নিজেদের হাতকে প্রসারিত করে থাকেন। জুম্মা দিনের ফজিলত রোজার মাসে সবচেয়ে বেশি হওয়াতে মুসল্লিরা ইবাদতের পরিমানকে বৃদ্ধি করে থাকেন। বিশেষ করে এই দিনে গরীব অসহায় রোজাদারদের ইফতার কারনো সুযোগ থাকে। তাছাড়া জুম্মা নামাজে শরীক হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট নিজেদের পাপমোচনের জন্য চেষ্টা করতে থাকেন অনেকেই। রমজান মাসকে কোরান নাজিলের মাস বলা হয়েছে। তাই এ মাসে অধিক পরিমাণ কোরান তেলাওয়াত করছেন মুসলমানরা।

আলেমদের মতে, সকলের উচিত প্রতিদিনই কম বেশি কোরান তেলাওয়াত করা। এ কালামে পাকের তেলাওয়াতের ফজিলতের বিষয়ে হাদিস শরীফে বিস্তারিত বলা হয়েছে। রমজান মাসের রোজার বিনিময়ে আমরা তাকওয়া অর্জনের সুযোগ লাভ করি আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের ইহকালিন ও পরকালিন জগতে শান্তি নিশ্চিত হবে বলে জুম্মার খুবতার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন কয়েকটি মসজিদের ঈমামবৃন্দ।