যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মহিমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন

চুয়াডাঙ্গার উকতো গ্রামে নেশাখোর স্বামী ও শাশুড়ির কাণ্ড

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার উকতো গ্রামে যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মহিমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে নেশাখোর স্বামী মিঠু ও শাশুড়ি মেমজান বেগম। শারীরিক নির্যাতনে গুরুত্বর আহত মহিমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নেশাখোর স্বামী মিঠু মাস্তান প্রকৃতির হওয়ায় বিচার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর পরিবার।
অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের মহিরদ্দীন ৬ বছর আগে মেয়ে মহিমাকে বিয়ে দেন শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের উকতো গ্রামের শাজাহানের ছেলে মিঠুর সাথে। বিয়ের দু’বছরের মাথায় তাদের কোলজুড়ে কন্যাসন্তান মিম আসে। বিয়ের পর থেকে ছোট খাটো ভুলত্রুটি ধরে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য মারধর করতো মহিমাকে। জামাই মিঠুর মন রাখতে সব রকম চেষ্টাই করতো মহিরদ্দীন। তাতেও মন গলে না মিঠুর। মিঠুর দাবিকৃত ২ লাখ টাকা দিতে না পেরে দু’বছর আগেও একবার মহিমা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মহিমা জানায়, প্রতিরাতে মিঠু নেশা করে বাড়ি ফেরে। আমি তাতে প্রতিবাদ করলে শাশুড়ি তার ছেলেকে উসকে দিয়ে আমাকে মার খাওয়াতো। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে মিঠু নেশা করে বাড়িতে এসে আমাকে বলে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার কথা ছিলো এনেছিস। আমি না বলতেই শাশুড়ি সে-েল দিয়ে আর মিঠু বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। লোক মারফত খবর পাঠালে আমার মা-বাবা গতকাল রোববার দুপুরের দিকে গিয়ে আমাকে নিয়ে আসে। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। মহিমার পিতা মহিরদ্দীন বলেন, দুঃখ কষ্ট যাই হোক মেয়েকে আর তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠাবো না। কারণ একবার মৃত্যুর কোল থেকে আমার মেয়ে ফিরে এসেছে।