যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে অন্যের কাছে বিক্রি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পুলিশি সহযোগিতা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে নিজ স্ত্রীকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত প্রতারক স্বামী সুমন সাহার বিচারের দাবিতে শৈলকুপা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন স্ত্রী সুমী সাহা (২২)।

সংবাদ সম্মেলনে সুমী সাহা বলেন, ৩ বছর পূর্বে কবিরপুর গ্রামের সুভাষ সাহার ছেলে সুমন সাহার সাথে হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই স্বামীর সাথে চাকরির উদ্দেশে আশুলিয়ার জামগড় নামক এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠে। উভয়ে সেখানে মদিনা সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে চাকরি শুরু করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এরপর থেকেই মাঝে মধ্যে তার স্বামী সুমন সাহা তার ও তার বাবার কাছে যৌতুক দাবি করতো। তার বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় সুমন মাঝে মধ্যেই তার ওপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। বিয়ের সময় স্বামী সুমন তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে এককালীন নগদ ১ লাখ টাকা ও ১ ভরি সোনার গয়না নেয়। এরপরও সে যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে এবং তাকে পাচার করে দেয়ারও হুমকি-ধামকি দেয়। এরপর থেকেই আশুলিয়ার ভাড়া বাসায় তার স্বামীর বন্ধুরা ও অপরিচিত লোকজন প্রায়ই আকস্মিক যাতায়াত শুরু করে। সুমী সাহা আরো বলেন, তার স্বামী সুমন সাহার বন্ধু আশুলিয়ায় অবস্থানকারী মাগুরা জেলার বিনোদপুর গ্রামের জালালের ছেলে মো. জিহাদের কাছে পাচারের উদ্দেশে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে বিক্রি করে পালিয়ে যায়।

মো. জিহাদ জোরপূর্বক তাকে একটানা ৩ দিন ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন চালাতে থাকে। পরবর্তীতে আশুলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় সুমীর বাবা সঞ্জয় সাহা তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি শৈলকুপাতে নিয়ে আসেন। সুমী সাহা প্রতিকার চাইতে শৈলকুপা থানায় গেলে পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি। তাই উপায়ন্তর না দেখে বাধ্য হয়ে সুমী ও তার পরিবার সংবাদ সম্মেলনে সুমন সাহার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তার বাবা শৈলকুপা পৌর এলাকার কবিরপুর গ্রামের ফলব্যবসায়ী সঞ্জয় সাহা ও তার ছোট বোন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুমু সাহা।