যুবককে বেধড়ক মারপিট করার ঘটনায় কালিদাসপুরের মানুষ বিক্ষুদ্ধ : অভিযুক্ত এক মহিলা আটক

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় বিনা অপরাধে এক যুবককে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ মারপিরটর ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে মর্নিং ওয়ার্ক করার সময় বাবুকে বেধড়ক মারপিট করার ঘটনায় কালিদাসপুর গ্রামের কয়েক শ বিক্ষুদ্ধ মানুষ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত এক মহিলাকে আটক করেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুরের গোলাম রহমানের ছেলে রেজাউর রহমান বাবু ভারউত্তোলন করতে গিয়ে কোমরে চোট পান। পরে ডাক্তারের পরামর্শে বাবু প্রতিদিন সকালে মর্নিং ওয়ার্ক করেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে মর্নিং ওয়ার্কের জন্য বের হয়ে আলমডাঙ্গা ক্যানেলের পাড় হয়ে হাটছিলেন। পথিমধ্যে মুস্তাকিন নামের এক ব্যক্তির সাথে ব্যক্তিগত আলাপ করছিলেন। সে সময় কাশেম নামের ক্যানেল পাড়ে বসবাসকারী এক ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত আলাপ আড়ি পেতে শুনতে অপচেষ্টা করে। তাতে বাধ সাধলে সে তার বাড়ির ভেতর থেকে ২ ছেলে অপু ও সানোয়ারকে ডেকে নিয়ে আসে। তারা দু ভাই বাবুকে চলা দিয়ে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। বাড়ির ভেতর থেকে অপু ও সানোয়ারের মা আরোপী খাতুন কুড়াল হাতে ছুঁটতে ছুঁটতে গিয়ে ছেলের হাতে দিয়ে বাবুকে কেটে ফেলতে বলে। সে সময় একই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হায়দার নামের এক ব্যবসায়ী গিয়ে বাধা দেন। তিনি বাবুকে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে নেন।

এদিকে বিনা অপরাধে নিরীহ বাবুকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার সংবাদে কালিদাসপুর গ্রামের বিক্ষুব্ধ মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে চড়াও হয়। সে সময় কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে অপু, সানোয়ার ও কাশেমকে আটক করতে না পারলেও আরোপী খাতুনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।