যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নিলেন মোদী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈতনীতির সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার রাতে ওয়াশিংটনে কাউন্সিল অব ফরেইন রিলেশন্সের এব অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশেরই সন্ত্রাসের আসল রূপ সম্পর্কে ধারণা নেই। আর এটা বোঝাতে গিয়ে প্রায়ই তারা দ্বৈতনীতির আশ্রয় নেয়। মোদী কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত ছিলো স্পষ্ট। ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে আমি যখন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করি, সে সময় আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশের (পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে) পৃষ্ঠপোষকতায় মুম্বাইয়ে চালানো সিরিজ বোমা হামলাকে ভারতের আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তারা। আমাকে তখন বোঝানো হয়, ভারত নিজেদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। বিদেশি ইন্ধনেই যে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, সে বিষয়ে তারা ছিলো অন্ধকারে। নাইন-ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই যখন সরাসরি এ ধরনের হামলার শিকার হলো, তখন পরিস্থিতি পাল্টে গেলো। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নাম উল্লেখ না করে পাকিস্তানেরও সমালোচনা করেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের বিষয়গুলো অন্যভাবে দেখানোর জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে নৈশভোজে যোগ দিতে যাওয়ার আগে এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈতনীতির সমালোচনা করেন মোদী। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি হত্যার বিচার চেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈতনীতির সমালোচনা করেন।