যশোরে বাস খাদে পড়ে নিহত ৬ : আহত ৪৫

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সাতমাইল বাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আহত যাত্রীরা জানিয়েছেন। নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মাগুরা সদরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের অরবিন্দু কুমার রায় (৫২) ও তার স্ত্রী ইতি রানী রায় (৪৫), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামের তারাপদ বিশ্বাসের ছেলে রামপ্রসাদ বিশ্বাস (৪২) ও যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন (৩৫)। আহতদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও বাসযাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সাতমাইল বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডানপাশে কড়াই গাছে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত ও বাসের সব যাত্রীই কমবেশি আহত হন। গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসটির যাত্রী তানভীর হোসেন বলেন, দুপুর ১২টার দিকে আমরা ছয়জন রূপসা পরিবহনের বাসটিতে উঠি। যশোর থেকেই চালক বেপারোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাতমাইল এলাকায় পৌঁছে মেট্রোপলিটন ও জিএম পরিবহনের দুটি বাসকে ওভারটেক করেন। এ সময় ওই দুই পরিবহনের সাথে পাল্লা দিয়ে সামনে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় রূপসা পরিবহনের বাসটি। এ সময় বাসটি হালকা উঁচু হয়ে রাস্তার ডানপাশে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে প্রেরণ করছে। যশোরের সিভিল সার্জন গোপেন্দ্রনাথ আচার্য জানান, আহতের সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে অন্তত ৪৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসাপাতাল পরিদর্শনে এসে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান বলেন, আহতদের খোঁজখবর নিয়েছি। তাদের চিকিৎসায় যাতে কোনো ত্রুটি না হয়, সেই বিষয়টি দেখছি। ওষুধপত্রের প্রয়োজন হলে আমরা দিচ্ছি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা পাবে।