মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শৈলকুপায় দু মাদরাসা ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দু মাদরাসাছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত রোববার রাতে শৈলকুপা উপজেলার কৃত্তিনগর গ্রামের গড়াই নদীর চরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা দু ছাত্রী বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল সোমবার তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ধর্ষক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে। ধর্ষিতাদের বাড়ি একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

ধর্ষিতা এক ছাত্রীর খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, দেড় মাস আগে কিত্তিনগর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আরিফের সাথে মোবাইলফোনে তার খালাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার তার ওই বোন আরো দু বান্ধবীকে সাথে নিয়ে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। খবর পেয়ে প্রেমিক আরিফ তার বোনকে মোবাইলফোনে ডাকে। রাত ৯টার দিকে তার বোনসহ ৩ মাদরাসা ছাত্রী প্রেমিক আরিফের সাথে দেখা করতে যায়। এ সময় আরিফ তাদেরকে কৌশলে গড়াই নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে কীত্তিনগর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে রাজিব ও তার চাচাতো ভাই হোসেন আলীর ছেলে আরিফ এবং কৃষ্ণনগর গ্রামের একদিল মণ্ডলের ছেলে বাদশা মিলে ওই ছাত্রীদেরকে ধর্ষণ করে। এ সময় একজন দৌঁড়ে পালিয়ে গ্রামে খবর দেয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ডাক ভেঙে পড়ে। এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে ওই দু ছাত্রীকে ফেলে রেখে আরিফ, বাদশা ও রাজিব পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসে। বিষয়টি রাতেই শৈলকুপা থানার ওসি মনিরুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে গ্রাম্য সালিসে আপস করার জন্য ওসি পরামর্শ দেন। এ ঘটনা নিয়ে শৈলকুপার কাতলাগাড়ি ক্যাম্পে রোববার গভীররাত পর্যন্ত ধর্ষকদের পরিবারের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবার দু চাচাতো বোনের ধর্ষণের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক রহিম উদ্দীন সোমবার দুপুর ২টার দিকে ধর্ষিতাদের শৈলকুপা থানায় নিয়ে আসেন। ধর্ষিতা দু ছাত্রী আপন চাচাতো বোন ও তারা শৈলকুপার কাঁচেরকোল মাদরাসার ছাত্রী।

শৈলকুপা থানার ওসি মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে ধর্ষিতা দুজন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি জানান, ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।