আলমডাঙ্গা ব্যুরোঃ আলমডাঙ্গা বলিয়ারপুরের দু জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত সুলতান মাথায় আঘাত নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করেছে। তার আগেই আলমডাঙ্গা থানায় আহতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুর গ্রামের এক শিক্ষকের মেয়েকে অজ্ঞাত ব্যক্তি মোবাইলফোনে মিসকল দেয়। এ মিসকল দেয়ার ব্যাপারে তারা সন্দেহ করে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মিন্টুকে (২০)। বিষয়টি শিক্ষক তার আত্মীয় একই গ্রামের মহিলা মেম্বার তানিয়া খাতুনকে জানান। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গত রোববার রাতে বেশ কয়েকজন গোলাম মিন্টুর বাড়িতে চড়াও হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় তারা মিন্টুর বড় ভাই সুলতানের মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে মিন্টুকেও বেদম পিটিয়েয়েছে বলে অভিযোগ। পরে সুলতান ও তার সহোদর মিন্টুকে গ্রামবাসী উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে সন্দেহ করে মিন্টু ও তার ভাইকে মারপিটের বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে গ্রামবাসী মন্তব্য করতে থাকলে গ্রামে সালিসের মাধ্যমে আপসের প্রস্তাব দেয়া হয়। তাতে সাড়া না মেলায় গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা থানায় গিয়ে মহিলা মেম্বার সুলতান ও মিন্টুও মারধর করেছে বলে অভিযোগ তোলেন। অপরদিকে গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে আলমডাঙ্গায় ফিরে সুলতান পাল্টা মামলা করেছে।