মেহেরপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন শিশুর শরীরে পুশ! সেবিকাদের অবহেলায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

 

মেহেরপুর অফিস: মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন শিশুর শরীরে পুশ করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এজন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত সেবিকার দায়িত্ব অবহেলাকে দায়ী করছেন তারা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ফারুক হোসেনের ১৪ মাস বয়সী শিশু মুজাহিদ নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত ১৬ মার্চ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শিশুটিকে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মৃনাল কান্তি মণ্ডল ব্যবস্থাপত্রে অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি ইউনিপিম ওয়ান গ্রাম (সেফিপাইম-১ গ্রাম) ইনজেকশনের নাম লেখেন। যার প্রতিটি ইনজেকশনের মূল্য ৫০০ টাকা। শিশুটির পিতা ব্যবস্থাপত্রটি নিয়ে হাসপাতাল গেটের সামনে জেনারেল ফার্মেসীতে থেকে দুটি ইনজেকশন কিনে নিয়ে শিশু ওয়ার্ডে আসে। সেই সময়ে ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সেবীকারা মেয়াদ না দেখে তা শিশুটির শরীরে পুশ করেন। একইভাবে পরদিন আরও একটি ইনজেকশন পুশ করায় শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মৃনাল কান্তি মণ্ডলের সন্দেহ হয়। তিনি ইনজেকশনের মোড়ক দেখে বুঝতে পারেন শিশুটির শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার ফলে শিশুটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে আগামীতে শিশুটির কিডনি ও লিভার আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত সাপক্ষে কর্তব্যরত সেবীকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।