মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসের মাইলফলক : কুষ্টিয়ায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি বলেছেন মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসের মাইলফলক। বাংলাদেশের জন্য মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম।  মুজিবনগর সরকার অস্থায়ী সরকার ছিলো না এটা বাংলাদেশের সর্ব প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার সময় বাংলাদেশে কার্যত কোনো সরকার ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলেও এবং তাকে সরকার প্রধান হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলেও বাংলাদেশ সরকারের রূপরেখা ১৯৭১’র ১০ এপ্রিল পর্যন্ত স্পষ্ট ছিলো না। গতকাল শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ১৯৭০’র নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় পরিষদের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন এবং এই সরকার ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার (যেটিকে পরে মুজিবনগর নামে নামকরণ করা হয়) একটি আমবাগানে শপথ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল শপথ নিলেও ১০ এপ্রিল সরকার গঠনের পর সেইদিনই তারা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অভিষেক অনুষ্ঠান করা হয় না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এই কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান চালু করে যেভাবে ইতিহাস সৃষ্টি করলো এরপর থেকে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় এরকম অভিষেক অনুষ্ঠান চালু করার তাগিদ দেন তিনি।

অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুখ খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ডাবলু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক  অ্যাড. আফজাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, থানা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।