মুজিবনগর সরকারকে অস্বীকার করায় সাবেক আমলা এইচটি ইমামকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান : অন্যথায় শাস্তি দেয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের মুজিবননগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁদু ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম নাসির যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, মুজিবনগর সরকারকে অস্বীকার করায় সাবেক আমলা এইচটি ইমামকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় পেতে হবে শাস্তি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত সোমবার ২৩ মার্চ রাজধানীর সোরওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পতাকা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা সাবেক আমলা এইচটি ইমাম বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার কোনো সরকারই না। এটা একটা প্রতীকী নাম, কোনো সরকার নয়। ইতিহাসের পাতা থেকে তথ্য নিয়ে এটা পরিষ্কার করতে হবে।’ জাতীয় পতাকা দিবসের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুজিবনগর সরকারকে বিকৃত এবং মুজিবনগর সরকারকে অস্বীকার করার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তীব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছেন মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁদু এবং মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম নাসির।

বিবৃতিতে যুবলীগ নেতৃবৃন্দে বলেছেন, বাংলাদেশের শপথ ভূমি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, সেদিনের সেই বৈদ্যনাথতলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামাঙ্কিত আজকের মুজিবনগর। ইতিহাসের সাক্ষী, স্থানীয় আনসারবাহিনীর গার্ড অব অনার, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর, কামরুজ্জামান ও জেনারেল ওসমানীসহ দেশি-বিদেশি সাংবাদিক এবং জাতীয়-আর্ন্তজাতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় যা মুজিবনগর সরকার নামে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ ‘মুজিবনগর সরকার’ কে অস্বীকার করার অর্থ বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। (জাতি ৪৪ বছর ১৭ এপ্রিল পালন করে আসছে) বাংলাদেশের শপথ ভূমি মুজিবনগরের গণমানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা থেকে এই মুহূর্তে এইচটি ইমামকে বাদ দিতে হবে এবং জাতির কাছে তার এ ইতিহাস বিকৃত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।